প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২২
"পিলখানা হত্যা মামলার ন্যায়বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ: চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের তিন দফা আন্দোলন"
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ফের ফিরে আসা ছায়া: শাহবাগ কেঁপে উঠল!
৯ জানুয়ারি ২০২৫, রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন, যার ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার সব বিডিআর সদস্যের মুক্তি
২। মিথ্যা মামলা বাতিল
৩। চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসন
৪। পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল একটি পরিকল্পিত ঘটনা, যেখানে বিডিআর সদস্যরা দেশবিরোধী চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরতরা জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এবং ছাত্রনেতাদের অনুরোধে দুই ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে শাহবাগ মোড়ের অবরোধ তুলে নেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে যান। তারা জানান, এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ের কোনো আশ্বাস না পেলে পুনরায় শাহবাগ অবরোধ করবেন।
শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে পুনরায় অবরোধের হুমকি দিয়েছেন।
এই বিক্ষোভের ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেছে। আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) বাহিনী বিলুপ্ত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গঠন করা হয়।
ডিসিকে/এমজেডএইচ