প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন : সেই ইরফান গ্রেফতার
রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জাহাজের ৭ জনকে
চাঁদপুরের মেঘনায় বহুল আলোচিত সার বোঝাই কার্গো জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার র্যাব-১১ এর পাঠানো এক খুদে বার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
|আরো খবর
এর আগে, মঙ্গলবার ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হাইমচর থানায় মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেছেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। হাইমচর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগিনা জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫), জাহাজের সুকানী নড়াইল লোহাগড়ের আমিনুল মুন্সী (৪০),জাহাজের লস্কর মাগুরার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), একই এলাকার লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড় এলাকার জাহাজের ইঞ্জিন চালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)। এছাড়া আহত সুকানী মো. জুয়েল ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে
মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজহারে উল্লেখ করেন, জুয়েলের গলাকাটা থাকায় সে কথা বলতে পারেনি। ঘটনার বিবরণ দিতে পারেনি। সে সুস্থ হলে ডাকাতদল দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানায়। তবে জুয়েলের সঙ্গে ইরফান নামে আরেকজন ছিল বলে সে লিখে জানায়। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেনি। ঘটনার পর ওই জাহাজ একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্ট ফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সীল, একটি হেডফোন জব্দ করেছে পুলিশ।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোহসীন উদ্দিন জানান, মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতদের প্রতি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে মেঘনা নদীর মাঝিরঘাট এলাকায় নোঙর করা সারবাহী লাইটার জাহাজ ‘এমভি আল-বাখেরা’ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ সময় তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়। পুলিশের ধারণা, ডাকাতির সময় নৌযানটির চালক ও কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।