প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭
শাহতলীতে গ্রাম পুলিশ বাদশার ওপর সন্ত্রাসী হামলা
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে গ্রাম পুলিশ বাশার গাজী (বাদশা) ও তার ছোট ভাই রিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গ্রাম পুলিশ বাদশার ছোট ভাই রিপনের ডান হাত ভেঙ্গে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে। এ ঘটনায় ৩১অক্টোবর গ্রাম পুলিশ মোঃ বাসার গাজী (বাদশা) বাদী হয়ে ৪জনকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিবাদীরা হচ্ছে : ১। কাউছার কারী (সিয়াম), পিতা- মোশারফ কারী, ২। মোশারফ কারী (৪৭), পিতা- মৃত বাচ্চু কারী, ৩। আতিকুর রহমান লিটন (৪৫), পিতা- মৃত লুৎফর রহমান মাষ্টার, ৪। হাছিনা বেগম (৩৮), স্বামী- মোশারফ কারী। এছাড়াও একই সময় ঘটনার প্রতিবাদ করায় হামলাকারী মোশারফ কারী ও সায়েম কারী তার বয়স্ক জেঠী বীর মুক্তিযোদ্ধা বারেক কারীর স্ত্রী মমতাজ বেগমের (৭০) ওপরও হামলা চালায়। বর্তমানে মমতাজ বেগম চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন মোশারফ কারী গংকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসআই মহসীন ও এএসআই আতাউর ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ লাঠিয়াল, ভূমিদস্যু ও মাদক সেবনকারী। বাদী একজন গ্রাম পুলিশের সদস্য। চাঁদপুর সদর মডেল থানা থেকে একজন পুলিশ কনস্টেবল আমার গ্রামে গিয়ে একজন ওয়ারেন্টের আসামী খোঁজ করার কথা বললে আমি গ্রাম পুলিশ উক্ত ওয়ারেন্টের আসামীকে চিনি এবং জানি বললে পুলিশ কনস্টেবল তার ঠিকানা অনুযায়ী পৌছে দিতে বলেন। ওয়ারেন্টের আসামী মোশারফ হোসেন কারী চিহ্নিত হওয়ায় আমার সাথে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলা শুরু করে। আমি তাকে চিহ্নিত করে দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায় এবং আমার ওপর এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মেরে নীলা ফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী ৪নং সাক্ষী ও ভাই ১নং সাক্ষী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ১নং বিবাদীসহ ১নং সাক্ষীকে জিআই পাইপ ও ধারালো অস্ত্র ধারা আঘাত করে। ১নং ও ২নং বিবাদী সজোরে আঘাত করা শুরু করে। ৩নং বিবাদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিকাল্পনা মাফিক ৪নং সাক্ষীর গলায় টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে এবং ৪নং সাক্ষীর গলায় থাকা ৯ আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ২নং বিবাদী ১নং সাক্ষীর ডান হাতে জিআই পাইপ দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলে। অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এজহারের বিষয়টি চাঁদপুরের পু্লিশ সুপার ও চাঁদপুর মডেল থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে এজাহারসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে এলাকাবাসী।