শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৭

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার

১৫ জেলে আটক, নৌপুলিশের ওপর হামলায় ৫জন গুরুতর আহত

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জেলে আটক, নৌপুলিশের ওপর হামলায় ৫জন গুরুতর আহত

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৪ ঘন্টায় পৃথক অভিযানে ১৫ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় ২৫ কেজি ইলিশ, এক লাখ ২১ হাজার ৫শ’ মিটার কারেন্ট জাল ও ৪টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

আটককৃতরা হলেন মোজাম্মেল (৩০), মোঃ সজিব (২৪), মোঃ জিসান (২০), মোঃ রাব্বি (২০), কালু প্রধান (৩৬), মোঃ তাজির ব্যাপারী (২৭), মোঃ সিফাত (১২), দেলু বেপারী (৪০), মোঃ কামাল হোসেন (২৫), মোঃ রফিক (২০), রহিম আলী (১৯) ও মোঃ রাসেল (১৫)।

নৌ পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুরে পদ্মা- মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরাবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নৌ পুলিশ আরো জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে অভিযানকালে ১৫/২০টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে ৮০-৯০ জন আসাধু জেলে বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় তারা এলোপাতাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে । নৌ পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে ট্রলারে থাকা পুলিশ সদস্যসহ মৎস্য ক্ষেত্র সহকারী ও নৌকার মাঝিকে আঘাত করেন। এ ঘটনায় মতলব উত্তর উপজেলার মৎস্য ক্ষেত্র সহকারী মোঃ মোশারফ হোসেন (৩২), এএসআই কামাল হোসেনসহ ৫জন গুরুতর আহত হন।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ জেলেকে আলামতসহ গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। তিনি আরও বলেন, নৌ পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য, মৎস্য কর্মকর্তা এবং ট্রলারের চালককে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগের সমন্বিত অভিযানের মধ্যেও চুরি-চামারি করে ইলিশ নিধন করছে একশ্রেণীর দুর্বৃত্ত জেলেরা। মেঘনার মতলব উত্তর, হাইমচর ও চাঁদপুর সদর উপজেলার চর এলাকাতে ভাসমান মাছের আড়ত খুলে মাছ বেচা-বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বহরিয়ার পশ্চিমপাড়ে ইব্রাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম নদীর পাড়ে ইলিশের গোপন আড়তদারি চলছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

এছাড়া বিভিন্ন হাট, বাজার, পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে ইলিশ বিক্রির খবর জানিয়েছেন অনেকে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলছে। গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়