প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৬
আট দফা পূরণের দাবি
প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গত ৬ অক্টোবর রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান। জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারের নেতৃত্বে এই সময় অন্য নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল রায়, সহঃ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ পলাশ মজুমদার, কার্যকরী সদস্য আশীষ মজুমদার, সদর উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, সহ-সভাপতি দুলাল গোস্বামী, সদস্য নয়ন রঞ্জন দাস, চাঁদপুর পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ভাস্কর দাস, সহ-সভাপতি প্রীতম সাহা, জেলা যুব ঐক্যের আহ্বায়ক অমরেশ দত্ত জয়, যুগ্ম আহ্বায়ক জয় চন্দ্র নাগ, সদস্য সচিব পার্থ গোপাল দাস প্রমুখ।
|আরো খবর
স্মারকলিপিতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেতা অ্যাডঃ রানা দাস গুপ্তের বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও মিরপুর থানায় দায়েরকৃত উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শাস্ত্রীয় পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, মন্দির ও দেবালয় ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ ৮ দফা দাবি পূরণের কথা জানানো হয়।
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতনসহ বাড়িঘরে হামলা, দেবালয়সহ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। কোনো সভ্য সমাজের মানুষ দ্বারা এমন ঘটনা কল্পনাতীত। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনসহ তা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করবেন এবং হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদেরকে উপযুক্ত সাজা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন। তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে বলে জানান। কমিটির সদস্যগণ পূজার দিনগুলোতে সার্বক্ষণিক তাদের নজরদারি রাখবে। তিনি শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং কোনো প্রকার গুজবে বিচলিত না হয়ে সমস্যা সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্যে পূজারীদের প্রতি বিনম্র অনুরোধ জানান।