প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ২০:৫৮
কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধে আদালতে জাল দলিলের মামলা
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৬) ও ছোট ছেলে সাকির হোসেন উরফে শাকিল (৪১) তাদের দু'ভাইয়ের সম্পত্তির বিরোধে বড় ভাই জহিরুল ইসলাম সাকিল এবং তার স্ত্রী শারমিনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পত্তির জাল দলিলের মামলা দায়ের করেছে। আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১১ জুন) কচুয়া থানা পুলিশের এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে সরজমিনে এসে তদন্ত করেন। যাহার মামলা নং ৩০১/ ২০২৪।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ বিগত ০২/০২/ ২০১২ সালে ১০৭৫নং দলিলমূলে জনৈক গোলাম মোস্তফার নিকট হতে ৫৩৭ দাগে ৪২ শতাংশ ও ৫৩৮ দাগের ০৬ শতাংশ একুনে মোটঃ ৪৮ শতাংশ ভূমি খরিদ করে। তারা সহোদর ভাই হওয়ার সুবাদে তাদের জমিজমা ভোগদখলের সুবিধার্থে দু'ভাইয়ের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদিত হয়। অঙ্গীকারনামা শর্তানুযায়ী সাকিল বড় ভাই জহিরকে ৫৩৭ দাগ ২১ শতাংশ এবং ৫৩৮ দাগ ০৩ শতাংশ একুনে ২৪ শতাংশ ভূমি হেবা রেজিস্ট্রি করে দেবে। সহজ সরল জহির সম্পত্তিতে ভোগদখলের মধ্যে ঘর দরজা উত্তোলনের প্রস্তুতি নিতে গেলে সাকিল ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার বাঁধা প্রদান করে বলে যে, সম্পত্তি আমাদের নামে রয়েছে। এই কথা শুনে বড় ভাই জহির হতভম্ব হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জহির তল্লাশি করে জানতে পারে ছোট ভাই সাকিল জাল দলিলের মাধ্যমে প্রতারণা করে গত ০৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখে ৩৬৩২ নং দলিলমূলে ৫৩৭ দাগ ৮ শতাংশ ভূমি তার স্ত্রী শারমিনের নামে হেবা রেজিস্ট্রি করে দেয়। এ নিয়ে জহির কোন উপায়ান্তর না পেয়ে গত মাসে আদালতের আশ্রয় নিয়ে সাকিল ও তার স্ত্রী শারমিনকে বিবাদী করে আদালতে এ জাল দলিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জহির প্রবাসে চলে যায় এবং মামলা পরিচালনা করার জন্য তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে আইনী ব্যবস্থা করে দেয়। জহিরের স্ত্রী সুমি আক্তার আদালতের ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রার্থনা জানিয়েছে।
অভিযুক্ত সাকিলের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি বক্তব্য দেননি।
এদিকে আদালত মামলার তদন্তে সরজমিনে এসে কচুয়া থানার এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।