প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ১৯:২৯
হাজীগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো পুকুরে
প্রায় এক ঘন্টা ধরে নিখোঁজ ফাতেমা (৫)। খোঁজ করছে বাড়ির সবাই। হঠাৎ করে বাড়ির পুকুরে ভেসে উঠলো পুকুরের পানিতে। তড়িঘড়ি করে নিয়ে আসা হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলো। মৃত ফাতেমাকে নিয়ে যাওয়া হলো বাড়িতে। ফুটফুটে ফাতেমার নিথর দেহ দেখে আত্মীয়-স্বজনদের গগনবিদারী চিৎকারে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে নিজ বাড়ির পুকুরে ডুবে মরে শিশুটি। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের জাখনী মোল্লা নেছার আহমেদের মোল্লার মেয়ে। ঘটনাটি ১ জুন শনিবার দুপুরের।
ফাতেমার পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো ফাতেমা নিজ বাড়ির উঠোনেই অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধূলা করছিলো। আর তার বাবা-মা গাছের ঢালপালা কাটছিলেন। বেশ কিছুক্ষন সময় তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটিকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শিশু ফাতেমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাবা-মায়ের কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে শিশুটি সবার অগোচরে নিজ বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই শিশুটি মারা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, শিশুটির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকার কারনে তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে।