প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭
আধা কিলোমিটার সরু সড়কে ২শ' পরিবারের দুর্ভোগ
মাটির তৈরি সরু সড়কের দৈর্ঘ্য মাত্র আধা কিলোমিটার। সড়কের এই অংশে মসজিদ মন্দিরসহ ৩০টি বাড়ির কমপক্ষে ২শ' পরিবারের বসবাস। এই দুই'শ পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় সহশ্রাধিক। এই সহশ্রাধিক পরিবারের চলাচলকারী লোকজনকে বর্ষা মৌসুমে রোগী আনা নেয়া, স্কুল কলেজ পড়ুয়া, বয়স্কদের চলাচলে মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটে আসছে বহু বছর ধরে।
|আরো খবর
সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রাম। এই গ্রামের উত্তর পূর্ব কোনে সম্প্রীতির বন্ধনে হিন্দু মুসলিম মিলিয়ে কমপক্ষে দুই"শ পরিবারের বসবাস। এই পরিবারগুলোর যাতায়াতের একটি মাত্র মাটির সড়ক রয়েছে। এটি এতোটাই সরু যে দু"জন লোক সমভাবে হাটতে পারে না। এই সড়ক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর ধর্মীয় উপাসনার জন্য রয়েছে একটি মন্দির আর একটি মসজিদ। পড়ালেখা করতে হলে এই সরু সড়ক ব্যবহার করে মক্তব, প্রাথমিক মাধ্যমিক কিংবা কলেজ যেতে হয শিক্ষার্থীদেরকে। সরু সড়কের কারনে ডেলিভারীর রোগী কিংবা একেবারে পৌড় কাউকে চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাইরে নিলে কোন পরিবহন মিলে না। এভাবেই সুযোগ বন্ধিত হয়ে আসছে এই দুই'শ পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাটির সরু এই সড়কটি ফুলছোঁয়া জামিয়া কুরআনিয়া মাদরাসা থেকে মাটির রাস্তা ধরে বেপারী বাড়ি হয়ে পন্ডিত বাড়ি, মনা গাজি বাড়ি, উত্তর শীল বাড়ি, বেপারী বাড়ি, দক্ষিন শীল বাড়ি, বড় পন্ডিত বাড়ি ছোট বেপারী বাড়ি নোয়া বাড়ি, নসা গাজী বাড়ী, ,মুনসী বাড়ি, আতার বাড়ি, সর্দার বাড়ির মধ্য হয়ে পাশে বোরখাল রাস্তায় মিশেছে। সড়কের এই সরু অংশটুকু প্রসস্ত আর উঁচু করে দিলে এই সকল পরিবারের চলাচলের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরু সড়ক ধরে চলাচলকারী মৌলভী আব্দুর রহিমের ছেলে হাকিম তাজুল ইসলাম গাজী (৫৫), মনা পন্ডিত বাড়ির মৃত মুন্নাফের রুস্তম আলী (৫৪),পন্ডিত বাড়ির মৃত ছেরাজলের আবুল কাশেম (৫৮) ও মৃত গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে সুকুমার চন্দ্র শীল জানান, সরকারের আকাশ ছোঁয়া উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে বাড়ির রাস্তায় ডুকলে নিজেদেরকে বড় বেমানান মনে হয়। আত্বী্য স্বজনকে বাড়ি আনতে পারি না লজ্যায, ছেলে মেয়েদেরকে ভালো পরিবারে আত্বীয় করতে গেলে অনেকে রাস্তার সমস্যার কারনে আত্বী্যতা করতে চাযনা।
নোয়া বাড়ির মৃত ইদ্রীস আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫২) জানান, বর্ষাকালে বাচ্ছারে স্কুলেই যেতে পারে না, রাস্তার অভাবে।
এ বিষয়ে বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিযন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী জানান আমার সময়ে মন্দিরের কাজ করে দিযেছি, রাস্তাটি ছোট ছোট বরাদ্ধ দিয়ে সংস্কার করার উদ্যোগ নেবার পরেই আমাদের নির্বাচন চলে আসে।
বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, আসছে বাজেটে বরাদ্ধ দিয়ে আমরা সড়কটির কাজ করে দেবো।