প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০
এজেন্ট ব্যাংকের ২১ লাখ টাকাসহ যুবক নিখোঁজ
এজেন্ট ব্যাংকের ২১ লাখ ৩২ হাজার ১শ ৮৫ টাকাসহ গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাজ্জাদ হোসেন (২৩) নামের এক যুবক। এ বিষয়ে সেই এজেন্ট ব্যাংকের মালিক শরাফত উল্যাহ চৌধুরী ঘটনার পরের দিন সাধারন ডাযেরি করেন। নিখোঁজ সাজ্জাত হোসেন একই এজেন্ট ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত। ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কের চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা পূর্ব বাজার এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে ও সাধারন ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর এজেন্ট শাখা শাখাটি উপজেলার রাজারগাঁও বাজারে। এর মালিক শরাফাত উল্যাহ চৌধুরীর পাশের ধলাইতলী গ্রামের চৌধুরী বাড়ির নুরুল হক চৌধুরীর ছেলে। অপরদিকে নিখোঁজ সাজ্জাদ হোসেন জেলার মতলব দক্ষিন উপজেলার লেজাকান্দি গ্রামের ইসমাইল তালুকদারের ছেলে। উক্ত এজেন্ট মালিক শরাফত উল্যাহ চৌধুরীর আপন ভাগিনা ক্যাশিয়ার সাজ্জাদ হোসেন।
জিডি সূত্র ও শরাফাত ঊল্যাহ চৌধুরী জানান, ঈদের বন্ধ শেষে প্রথম কর্মদিবসে এজেন্ট যাওয়ার জন্য গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ৯ টার দিকে বের হই। উপজেলার বাকিলা বাজার সংলগ্ন খলাপাড়া সর্দার বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে বেরিয়ে পাশের চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠেন শরাফত উল্যাহ ও সাজ্জাদ হোসেন। বাসা থেকে বেরিয়ে মহাসড়কে আসার পর সাজ্জাদ হোসেন মামা শরাফতকে বলেন মামা আমি দাঁড়াইছি আপনি গাড়িটা (মোটর সাইকেল) বের করে আনেন। এ সময় সাজ্জাদের কাছে পূর্ব থেকে থাকা এজেন্ট ব্যাংকের ১২ লাখ ৯৪ হাজার ১শ ৮৫ টাকা ছিলো। গাড়ি আনতে যাওয়ার আগে শরাফত চৌধুরীর কাছে থাকা ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সাজ্জাতের কাছে রেখে পাশের ভাড়া বাসায় চলে যান। গাড়ি বের করে আনার পর শরাফত উল্যাহ দেখেন ভাগিনা সাজ্জাত হোসেন আর কোথায় ও নেই। তাৎক্ষনিক ভাগিনাকে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় শরাফতের ডাকচিৎকারে আশপাশ থেকে বহু লোকজন জড়ো হলেও হদিস মেলেনি ক্যাশিয়ার কাম ভাগিনা সাজ্জাতের। এর কিছু পরে সাজ্জাতের টিফিন বক্সটি পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পরের দিন ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২১ লাখ ৩২ হাজার ১শ ৮৫ টাকাসহ ক্যাশিয়ার সাজ্জাত হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন বলে এজেন্ট মালিক বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে শরাফত উল্যাহ চৌধুরীর করা নিখোঁজ ডাযেরীর সূত্র ধরে আমাদের তদন্ত কাজ চলছে।