প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩২
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুরাণবাজারে আবারো সংঘর্ষ, আহত ২০
দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর লুটপাট

এলাকার আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা ও সদ্য ঘোষিত ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে পূর্বের বিরোধ এবং ঈদ আনন্দের নামে উচ্ছৃঙ্খল আচরণকে কেন্দ্র করে পুরানবাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে দাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় নিরীহ মানুষের দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে ।
ঈদের দিন রাত সাড়ে ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চলে স্থানীয় বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা। এ সময় পৌর ১ ও ২নং ওয়ার্ড সীমানা ঘেঁষা সুইপার কলোনী মেয়র সড়ক মোড়, ম্যারকাটিজ রোড, টিজিরোড, মধ্যশ্রীরামদী এলাকা এখনো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ইট ও কাঁচের বোতল ভাংগা টুকরার স্তূপ জমে যায় রাস্তার ওপর। ইটের আঘাতে অনেকে আহত হয়ে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এক পক্ষ ধাওয়া করে ওসমানিয়া মাদরাসার বিপরীত কোব্বাত গাজীর বাড়ির মার্কেটের ৪/৫টি দোকান কুপিয়ে ভাংচুর এবং প্রাণের এজেন্টের দোকানের মালামাল লুট করে। আশপাশের টেইলারিং ও টং দোকানসহ আরো দোকানপাটে হামলা ভাংচুর করা হয়েছে।
পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে লিপ্তদের আক্রমণের মুখে অসহায় হয়ে পড়েন। কারণ তাদের অধিকাংশই ফাঁড়ি পুলিশের কাছে পরিচিত মুখ।সংঘর্ষে লিপ্তরা স্থানীয়ভাব ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং সমর্থক বলে জানা যায়। এলাকার প্রভাব বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের জন্যে তারা
পুলিশের সামনেই ধারালো অস্ত্রের মহড়া দেয়ার সাহস দেখিয়ে আসছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মহসিন আলম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।
সংঘর্ষের এই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত শুক্রবার দুপুরে পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এসে গেছেন।
এদিকে,মেরর্কাটিস রোডের উসমানিয়া মাদ্রাসার বিপরীত কোবাত গাজী বাড়ির ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, ওরা রাজনীতি করে দল করে গ্রুপিং করে তা ওদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা যারা নিরীহ মানুষ আমাদের দোকানপাটে কেন হামলা ভাঙচুর লুটপাট করা হলো। পুলিশ প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষের ভাষ্য
উল্লেখিত এলাকাগুলো এখন ক্রাইম জোনে পরিণত হয়েছে। বিগত সময়ে এখানে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং একজন নিরীহ পথচারী নিহত হয়।
আরো লাশ পরার শঙ্কা এলাকাবাসীর। তারা বলছে,ব্যক্তির স্বার্থে সরকারি দল বা রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার চিহ্নিত কিছু লোকের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী।তারা মাদক ব্যবসা,নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ ধরা ও এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংঘাতের এ পরিস্থিতি দেখতে চায় না।
এগুলো হবার পেছনে জেলা শহরের রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিরাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।