প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪
শিক্ষিকার উপর বখাটে ইভটিজারের হামলা
বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে আলোকিত মুখ ফাতেমাতুজ জোহরার উপর এক বখাটে ইভটিজার অতর্কিত হামলা করেছে। মামুন ঢালী, পিতা মোঃ রহমান ঢালী নামে ওই বখাটে ইভটিজার বুধবার রাতে বাবুরহাট কলেজ রোড এলাকায় ফাতেমাতুজ জোহরার বাসার সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটায়। হামলায় ফাতেমা গুরুতর আহত হলে বুধবার রাতেই তাকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফাতেমা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
|আরো খবর
জানা যায়, ফাতেমাতুজ জোহরা তার বাবা, মা ও বোনসহ বাবুরহাট কলেজ রোড এলাকায় স্বপন মিয়াজী কমপ্লেক্স নামে এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ফাতেমা প্রয়োজনীয় কাজে বাসা থেকে বের হন। তিনি বাসা থেকে বের হয়ে বাবুরহাট বাজারের দিকে আসতে নিলে বাসার সামনেই চিহ্নিত বখাটে ইভটিজার মামুন ঢালী একটি লোহার বস্তু দিয়ে ফাতেমার মাথায় আঘাত করে। ফাতেমা সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন দৌড়ে বখাটে মামুনকে আটক করে। পরে মামুনের বাবা ও চাচা এসে জোরপূর্বক মামুনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে শয্যাশায়ী ফাতেমা জানান, এই বখাটে মামুন আমাকে অনেকদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। আমি যেখানেই যেতাম সে আমার পিছু নিতো। আমাকে সে চরমভাবে উত্যক্ত করতো। কিছুদিন আগে আমাকে উত্যক্ত করার ঘটনায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পনর দিনের সাজাও দেয়া হয়। সে সাজা খেটে বের হয়ে আসার পর ‘হাসিনা রহমান’ নামে একটি ফেইক আইডি থেকে আমাকে নিয়ে আমার পিতৃতুল্য আঙ্কেলদের জড়িয়ে নানা আজেবাজে পোস্ট দিতে থাকে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাও হয়েছে। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আমি প্রয়োজনীয় কাজে বাসা থেকে বের হয়ে বাবুরহাট বাজারের দিকে যাবো, এমন সময় বাসার সামনেই বখাটে মামুন দোকানের সামনে রাখা একটি স্ট্যান্ড সাইনবোর্ড দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। সাথে সাথে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আমার চিৎকার শুনে তখন রাস্তার মানুষ দৌড়ে বখাটে মামুনকে আটক করে। পরক্ষণে খবর পেয়ে মামুনের বাবা ও চাচারা এসে জোরপূর্বক মামুনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই আমাকে অচেতন অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফাতেমা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, পরিবারের অভিভাবক এবং এলাকার তথাকথিত কিছু মোড়লদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা এসব বখাটে ইভটিজারদের আইনের আওতায় এনে যদি প্রয়োজনীয় শায়েস্তা না করা হয়, তাহলে মুক্তবুদ্ধি চর্চার নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে এবং তাদেরকে গুটিয়ে নিতে তারা বাধ্য হবে। আর এমনটি হলে এর দায় কেউ এড়াতে পারবে না।