প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১৯:২৯
চাঁদপুরে স্বামীর যৌতুক মামলায় স্ত্রী জেলহাজতে
দুই বছরের দাম্পত্য জীবনে সম্পূর্ণ মোহরানা পরিশোধের পরেও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের করা ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবী মামলায় স্ত্রী মনি আক্তার মিতু (২১) কে জেলা হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার ২৬ আগস্ট দুপুরে সমন জারির নির্ধারিত তারিখে মনি আক্তার স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কফিল উদ্দিন-এর আদালতে এই আদেশ দেন। একই সাথে অপর আসামী মনি আক্তারের ভাই মেহেদী হাছান (২৬) এর জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ জুন বাদী নুর মোহাম্মদের সাথে একই উপজেলার সুজাতপুর এলাকার দুলাল মিজির মেয়ে মনি আক্তার মিতুর সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোহরানা ধার্যপূর্বক বিবাহ সম্পন্ন হয়। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ ওয়াশিয়াস্তে কাবিন নিবন্ধন হয়। পরবর্তীতে নুর মোহাম্মদ বাকি ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
বিবরণ থেকে আরো জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই মনি আক্তার তার স্বামীকে বিভিন্ন বাহানায় নগদ অর্থ যৌতুক দাবী করে। এক পর্যায়ে তার পিতার ঘর করার জন্য স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করে নেন। এরপরে দাম্পত্য জীবনে শান্তি আসেনি। একের পর এক যৌতুক দাবী, নুর মোহাম্মদকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন মনি আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালেও কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়। কিন্তু কোন ধরণের সমাধান আসেনি। বরং মনি আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে এবং টাকা না দিলে তার সংসার করবে না মর্মে ডিভোর্স চান।
এরপর কোন ধরণের উপায় না পেয়ে নির্যাতনের শিকার মনি আক্তার মিতুর স্বামী নুর মোহাম্মদ গত ১৫ জুলাই চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ রানা বলেন, বাদী পক্ষ দীর্ঘদিন নির্যতানের শিকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতে এসে মামলা দিতে পারেননি। মামলাটি গত ১৫ জুলাই আদালত আমলে নিয়ে আসামী মনি আক্তার মিতু ও তার ভাই মেহেদী হাছানের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। একই মামলায় মিতুর পিতা দুলাল মিজিও আসামী ছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়নি। আজকে মিতু ও মেহেদী স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হলে মেহেদীকে জামিন ও মিতুকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল আজিজ।