শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:১৩

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান

চাঁদপুরে নিলামের অপেক্ষায় জব্দ ১৯৪টি জেলে নৌকা

মিজানুর রহমান
চাঁদপুরে নিলামের অপেক্ষায় জব্দ ১৯৪টি জেলে নৌকা

দেশের অন্যতম মৎস্য সম্পদ মা ইলিশ রক্ষায় এবার চাঁদপুরে ৫৭৩ অভিযানে ইঞ্জিন চালিত ১৯৪টি জেলে নৌকা জব্দ হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে গত ১২ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিলো।

এ সময় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স নদীতে ৫৭৩ অভিযান পরিচালনা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে নিষিদ্ধ সময়ে আটক হয় ৩৭১ জন জেলে। জব্দ হয় কাঠের ইঞ্জিন চালিত ৬২টি নৌকা। প্রতিটি নৌকার বর্তমান বাজার মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। সে হিসেবে উন্মুক্ত নিলামের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যমানের এসব নৌকা। একই সময়ে নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দ হয় ১৯৪টি নৌকা।

শুক্রবার ১০ নভেম্বর সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অভিযানে জব্দ বহু জেলে নৌকা নদীর পাড়ে পড়ে আছে।

চাঁদপুর সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আমাদের নৌ অঞ্চলের সবগুলো ইউনিটের মা ইলিশ রক্ষায় বিগত ২২ দিনে অভিযানে ১৯৪টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। জেলে আটকের সাথে এসব নৌকা, জাল ও মাছও জব্দ হয়। নৌকাগুলো মামলার আলামত হিসেবে জব্দ দেখানো হয়। যে কারণে মামলার নিস্পত্তি ও আদালতের নির্দেশ ছাড়া এসব নৌকা মালিকরা নিতে পারেন না। বিগত অভিযানগুলোতে মামলা নিস্পস্তির পরে মালিকরা তাদের নৌকাগুলো নিয়েছেন। এবারও একই নিয়মে নিতে হবে। এখানে আমাদের কোন কিছু করার নেই।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আমাদের অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযানে যেসব নৌকা জব্দ রয়েছে, সেগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হবে। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে জাটকা রক্ষা অভিযানে যেসব জেলে নৌকা জব্দ করা হয়, সেগুলো উন্মুক্ত নিলামে বিক্রির পরে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এবারও তাই হবে। নিলাম কার্যক্রমকটি মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয় ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়