প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:০১
আজানের মধ্যে মুয়াজ্জিমকে কোপানো মিঠুকে খুঁজছে পুলিশ
মসজিদের মাইকে আজান দেয়ার সময় নূরুল ইসলাম লেদু (৭০) অতর্কিতভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখমকারী মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু (৪৫)কে ধরার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় মুয়াজ্জিমের ছেলে বাদী হয়ে মিঠুকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আহত মুয়াজ্জিম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার ভোররাতে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও বায়তুল নূর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠু পলাতক রয়েছে।
|আরো খবর
আহত মুয়াজ্জিনের ছেলে মুনাব্বর হোসেন ইকরাম জানান, শনিবার রাতে বাবাকে গালিগালাজ কররে এবং হুমকি দেয় মিঠু। তখন দুইজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। রোববার ভোরে বাবা মসজিদে আজান দেয়ার সময় মিঠু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই হামলা করে। এতে বাবা গুরুতর আহত হন। পরে বাবাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ও দেশগাঁও দ্বিনিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহ সুলতান ভূঁইয়া জানান, মিঠু গত ক’দিন ধরে তাকে ও মুয়াজ্জিনকে গালিগালাজসহ হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এর মধ্যে গত রোববার স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের ছোট ছেলের মৃত্যু ও জানাজার খবর মসজিদে মাইকিং করার পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কেন শিশুর মৃত্যুর খবর মাইকিং করা হলো এর জবাব চান মিঠু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, ফজরের আজানে ‘হাইয়াআলাস সালা, হাইয়াআলাস সালা ‘বলার পর মুয়াজ্জিন নূরুল ইসলাম লেদু মাইকেই ‘বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার দিতে থাকেন। এ সময় আমরা এসে দেখি, তিনি (মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু) মসজিদ থেকে দ্রুত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুর ছোট ভাই শাহপরান বলেন, এই ঘটনায় মিঠু ভাই জড়িত নন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে, মিঠুকে আটকের বিষয়ে একাধিক টিম কাজ করছে।