প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৫
আইফোন না পেয়ে কিশোরের আত্মহত্যা

কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের গোহট গ্রামের আমিনুল হক মেম্বার বাড়ীর মৃত আজম হোসেনের নাতি মো: সাজিদ (১৪) মামার কাছ থেকে আইফোন চেয়ে না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
সরজমিন গেলে মামা সুজন ও আবুল কালাম জানান, সাজিদের গ্রামের বাড়ী নরসিংদী। বর্তমানে সে বসবাস করে ঢাকার শাহজাহানপুরে ভাড়া বাসায়। তার পিতা মো: সোহেল দীর্ঘদিন যাবত ভারতে থাকে এবং মা শাহানাজ একটি ঢাকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। সে গত ৫ আগস্ট ঢাকা থেকে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং তার মামা সুজনের বন্ধু রাজনের সঙ্গে রংমিস্ত্রির কাজ শিখতে যায়। ৩/৪ দিন কাজ করার পর কাজে না যাওয়ায় মামা সুজন তাকে ১২ আগস্ট কাজে যেতে বললে, সে তাকে আইফোন কিনে দেয়ার কথা এবং ১৩ আগস্ট আবারও কাজে যাওয়ার কথা বললে, সে তাকে বিয়ে করানোর প্রস্তাব দেয়। তখন মামা সুজন ও আবুল কালাম জানান, তোকে আইফোন কিনে দেয়ার মত আমাদের ক্ষমতা নাই এবং এখনো তোর বিয়ে বয়স হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজিদ ১৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাজিদের মামা ও আত্মীয়স্বজন অনেক খোজা খুজি করে এবং তার মা শাহানাজকে ফোন দিয়ে সাজিদ ঢাকা গিয়েছে কিনা জানতে চায়, মা জানান সে আসেনি। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মো: এমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তি সাজিদের নানার বাড়ির পাশের জুগি বাড়ির পুকুরের পাড়ে গাছ কাটতে এসে তারই পাশে নির্জনস্থানে গলায় গামছা পেচানো একটি লাশ দেখতে পায় এবং লাশের পাশে একটি গোলাপজাম গাছের ২০/২৫ ফুট উচ্চতায় গামছার ছেড়া অন্য অংশটি বাধা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি মেম্বার সহিদুল হক খাজার মাধ্যমে কচুয়া থানা পুলিশ জানালে,খবর পেয়ে কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো: ইব্রাহিম খলিল ও ওসি তদন্ত মো: হারুনুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরজমিন এসে লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে।
কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা সরজমিন এসে লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট করিৃৃ এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করেছি।
ছবি: মৃত কিশোর সাজিদের বাগানে পড়া থাকা লাশ এবং ইনসেটে ফাইল ছবি।
ফরহাদ চৌধুরী
০১৮১৪৯৮২৮৪৫