প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ২১:১৮
চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে যানবাহন পার্কিংয়ের নামে চাঁদা আদায় বন্ধ
চাঁদপুরের অন্য পর্যটন কেন্দ্রে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র (বড় স্টেশন মোলহেড)। এখানে চাঁদপুর জেলা এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ন হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসে। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে এখানে আসেন। মোলহেডে আসা দর্শনার্থীদের বহনকৃত যানবাহন থেকে একদল অসাধু লোকজন রেলওয়ের লিজের নামে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে। গত কদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে জেলা প্রশাসন তা আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহকে দায়িত্ব দেন। সেই আলোকে গতকাল রোববার দুপুর চাঁদা আদায়কারী লোকজনের ডেকে চাঁদা না উঠানোর জন্য নিষেধ করে দেয়।
|আরো খবর
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতি মাসখানেক যাবৎ বড়স্টেশন মোলহেডে আসা যানবাহন থেকে সর্বনিম্ন ৪০ টাকা থেকে যানবাহনের প্রকারভেদে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা করে আদায় করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা যানবাহন পাকিং এর টাকা বেশি জিজ্ঞেস করলে তাদের সাথে গালমন্দ করে টাকা আদায় করতো। চাঁদা আদায়কারীরা কম্পিউটারে ছাপানো রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করতো। তাদের ছাপানো রশিদে লেখা ছিলো বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র রেলওয়ে গাড়ি পার্কিং ইজারাদার গোলাম হোসেন জুয়েল। তারা মোটরসাইকেল থেকে ৪০ টাকা, সিএনজি থেকে ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার থেকে ২০০টাকা, হাইচ/নোহা থেকে ৩০০ টাকা, বাস/ট্রাক থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করতো। তাদের কাছে প্রায়ই নারী পর্যটকরা নাজেহাল হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
মোলহেডে আসা দর্শনার্থীদের বহনকৃত যানবাহন থেকে রেলওেয়ের লিজের নামে চাঁদা আদায়ের একটি ভিডিও গতি কয়েক দিন পূর্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলা প্রশাসন তা আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহকে দায়িত্ব দেন। সেই আলোকে রোববার দুপুর চাঁদা আদায়কারী লোকজনের ডেকে চাঁদা না উঠানোর জন্য নিষেধ করে দেয়। এঘটনায় দর্শনার্থীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
এদিকে উন্মুক্ত পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা আদায় সম্পূর্ণ বেআইনী ও এখতিয়ার বহির্ভূত চাঁদা আদায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিল মোঃ সফিকুল ইসলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্লাহ জানান, চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র (বড়স্টেশন মোলহেড) এ রেলওয়ে ইজারদার নামে যে চাঁদা আদায় করছে তারা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ তারা রেলওয়ে থেকে লিজ এনেছে, কিন্তু রেলওয়ে এখনো তাদের লিজ বুঝিয়ে দেয়নি। যতদিন পর্যন্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লিজ বুঝিয়ে না দিবে ততদিন পর্যন্ত তাদের চাঁদা আদায় বন্ধ থাকবে।