বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ১৬:২২

মতলবে যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৭ জন আটক

অনলাইন ডেস্ক
মতলবে যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৭ জন আটক

মতলবে যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৭ জন আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, মতলব উত্তরের ঘটনায় মামলার ১নং আসামি কাজী মিজানকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭জন আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহার নামীয় তিনজন। বাকি চারজন সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

কাজী মিজানের ব্যাপারে অভিযোগ হলো- সে ঘটনার আগেরদিন রাতে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বাড়িতে মিটিং করেছে। পরদিনের ঘটনার প্ল্যান তার উপস্থিতিতে হয়।

উল্লেখ্য, মতলব উত্তরে বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নামের এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। তার ছেলে ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫) গুরুতর আহত হওয়ায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে। আহত ইমরান তার ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে।

শনিবার বিকেল ৩টায় বাহাদুরপুরে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয় তিনজন। পরে এদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্মরত চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে গুরুতর আহত ইমরান বেপারী ও জহির কবিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহত মোবারক হোসেন বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু জানান, মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় আমার ভাইসহ লোকজন বাহাদুরপুর থেকে যাওয়ার পথে রাজ্জাক প্রধানসহ তার লোকজন আক্রমণ করে গুলিবর্ষণ করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ সিগমা রশিদ জানান, রোগীকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সাথে সাথেই রোগী মারা গেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়