প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ১৯:৩৩
ফুটফুটে শিশু সোহানের হত্যকারী কে এই আঃ আহাদ?
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায় রুদ্রগাঁও তালুকদার বাড়ির শরীফ তালুকদারের ছেলে আঃ আহাদ। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট। আহাদ এ বছর পাশর্^বর্তী শাহজাহান কবির উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
|আরো খবর
স্থানীয়রা জানায়, মেধাবী ছাত্র হিসেবে এলাকায় আহাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। নিজে পড়ার সাথে সাথে এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতো। তারই একজন হতভাগ্য সোহান। বেশ কিছুদিন ধরেই সে সোহানকে পড়াতো। গত ৪/৫ মাস পূর্বে সে তারই নিকাত্মীয়কে প্রেম করে বিয়ে করে। যদিও সে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে বলে স্থানীয়রা জানায়। মোবাইলে আসক্তি ও অপরাধ বিষয়ক সিরিয়াল সিআইডি দেখতে দেখতে দেখতে তার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা জন্ম নেয়।
সূত্রে জানা গেছে, সোহান নিখোঁজের পর থেকে পুলিশ ও এলাকার লোকজনের পাশাপাশি সেও হন্যে হয়ে খুঁজেছে। পুলিশ গত ৮দিন ধরে প্রথমে নিখোঁজ সোহানকে খোঁজা ও পরে সোহানের খুনিকে খোঁজার বিষয়ে সর্বদা পুলিশকে সহয়তা করেছে। সবক্ষেত্রে সে সামনে থেকে সকল কাজ করেছে। হত্যা মামলাটি দায়েরের পর পুলিশ যখন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আঃ আহাদকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহ করতে থাকে এবং নজরদারিতে নিয়ে আসে, তখনও সে স্বাভাবিক ছিলো এবং এসএসসি পরীক্ষা দেয়।
সূত্র জানায়, পুলিশ আঃ আহাদকে সন্দেহজনক হিসেবে আটকের পর নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাকে বেশ স্বাভাবিক মনে হয়েছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ ও কৌশলেও সে হত্যার কথা স্বীকার করে নি। এক পর্যায়ে তাকে পুলিশ নানা কৌশলে জড়িয়ে ফেলে সোহান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করাতে সক্ষম হয়।
থানা পুলিশের মতে, আহাদের মুঠোফোনে ব্যবহৃত সীমকার্ডটি দিয়ে সোহানের মাকে ফোন করলেও সোহানের মা সে সময় ফোন রিসিভ না করায় এবং পরবর্তীতে সীমকার্ডটি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে। সীমকার্ড ব্যবহারের কারণে আহাদের মায়ের মুঠোফোনের আইএমই নাম্বার ও কে এটি ব্যবহার করছে সেই সর্ম্পকে নিশ্চিত হতে পেরেছে।
সূত্র জানায়, আহাদ দেখতে সহজ-সরল হলেও বাস্তবিক সে অত্যন্ত চতুর ছিলো। ফলে হত্যা রহস্য উদ্যাটন করতে তাদের কাঠখড় পোহাতে হয়েছে।