প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৪৪
চিরকুট লিখে ট্রেনে কাটা পরে আত্মহত্যা করলেন টাইলস মিস্ত্রী
নিজের সংসারের অশান্তি আর কয়েকজন সালিসদারের নাম চিরকুটে লিখে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করলেন রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক যুবক। সে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা এলাকায় মা স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসলে ও মূলত তার বাড়ি সিলেটে। তাকে স্থানীয়রা সিলেটি বলে ডাকতেন। সে আবদুর গফুরেরর সন্তান।
|আরো খবর
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিন দুপুরে লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল এলাকায় রেল লাইনের পাশে ট্রেনে কাটা লাশ পড়ে থাকতে থেকে স্থানীয়রা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করে। লাশটি প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হলে ও পরে নিহতের পকেটে চিরকুট পড়ে লাশের পরিচয় মিলে। পেশায় সে টাইলস্ মিস্ত্রী ছিলো ও দুই পুত্র সন্তানের জনক।
নিহতের মা মুঠোফোনে জানান, গত ১০ বছর ধরে বউয়ের সাথে ছেলের বনিবনা নাই। দুই নাতি থাকা সত্বেও বউ ছেলের সাথে ভালো ব্যবহার করেনি। সর্বশেষ গত সোমবার পাশের রামপুর ইউনিয়নের কয়েকজন শালিশদার ছেলেকে জোর করে ১০ লাখ টাকায় নতুন করে এই বউয়ের সাথেই বিয়ে পড়ায়। সেই সব কষ্টে ছেলে এ ঘটনা ঘটনায়।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, চিরকুটের সূত্র ধরে বিস্তারিত জানতে পুলিশ এসেছে আমার কাছে। আমাদের এলাকার ১ জনসহ রামপুর ইউনিয়নের কয়েক শালিশদারর নাম চিরকুটে লিখে গেছে সে। নিহতে মা এ বিষয়ে কথা বলতে আমার কাছে এসেছিলো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্যাহ্ বাহার জানান, চিরকুটের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।