প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:৪৪
ফরিদগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার
ফরিদগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া পাঠানের সন্তান ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম পাঠান সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৬ এপ্রিল ইফতারের পর বাড়ি ফেরার পথে তিনি এই হামলার শিকার হন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
|আরো খবর
জানা গেছে, উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষুরবন্দ গ্রামের ইউপি সদস্য মোসাঃ সেলিনা আক্তারের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া পাঠানের সন্তানদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। এরই জের ধরে ৬ এপ্রিল ইফতারের পর সেনা বাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর পাঠান রূপসা বাজারস্থ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দক্ষিণ পাইকপাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে হামলার শিকার হন।
হামলায় আহত জাহাঙ্গীর পাঠান (৪৭) জানান, ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তারের ছেলে ওমর ফারুক, লিমন এবং ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তার ও তার স্বামী বাচ্চু মিয়া তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা তাকে ব্যাপক মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। তার নিকট থাকা নগদ অর্ধ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা । হামলা শিকারের পর তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া পাঠান জানান, ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তারের সন্তানরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। তারা নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত। আমার সন্তান জাহাঙ্গীর পাঠানের উপর হঠাৎ করেই হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ ব্যাপারে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর পাঠান বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
অপরদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তারের ছেলে ওমর ফারুককে মুঠোফোনে কল করলে সে জানায়, জাহাঙ্গীর পাঠান ও তার ছেলে তাদের ঘরে এসে তদের উপর হামলা করে। এই ঘটনায় তারাও আহত হয়েছেন।
এদিকে সেনা সদস্যের উপর হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে এসআই একরাম হোসেন শনিবার মুঠো ফোনে জানান, রাতেই তিনি ঘটনাস্থর পরিদর্শন করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তদন্ত চলছে