প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত ঢাকায় খুন
হাজীগঞ্জের কৃতী সন্তান মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদাত হোসেন মজুমদার গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় খুন হয়েছেন। এদিন সন্ধ্যার কোনো এক সময় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার রবীন্দ্র সরোবর লেকেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডি থানা পুলিশ লাশ এবং রক্ত মাখা ছুরি উদ্ধার করেছে। ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির মৃত আব্দুল বারী মজুমদারের ছেলে। তবে ছোট বেলা থেকে তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন।
|আরো খবর
নিহতের বড় ভাই মোতালেব হোসেন মজুমদার জানান, তারা চার ভাই-বোন (দুই ভাই, দুই বোন)। শাহাদাত হোসেন মজুমদার পরিবারের সবার ছোট। সে একটি বিদেশী জাহাজ কোম্পানিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক মাস আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। শাহাদাত কলাবাগানের বাসা থেকে রাতে নিয়মিত রবীন্দ্র সরোবর লেকের পাড়ে হাঁটতে যেতেন। অন্য দিনের মতো শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করা হয়। এরপর এদিন রাতেই জানতে পারেন ধানমন্ডি থানা পুলিশ লেকের পাড় থেকে তার ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার আজিজুল হক স্বপন জানান, নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহের অদূরে একটি রক্তাক্ত ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পলাশ জানান, নিহতের পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত। তারা শৈশব থেকে ঢাকায় বসবাসরত। এদিন রাত ৯টায় নিহত শাহাদাত হোসেন মজুমদারের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর মজুমদার বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।