প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:১১
চাঁদপুরে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হত্যাকান্ড
এখনো চিহ্নিত হয়নি ঘাতক
চাঁদপুর শহরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল্লাহ কোম্পানি(৭০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো ঘাতক চিহ্নিত হয়নি। তদন্তে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। সহসায় খুনি ধরা পরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঘটনার তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা।
|আরো খবর
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার পর যে কোন সময় শহরের নতুনবাজার লন্ডনঘাট এলাকার সফিনা আবাসিক হোটেলের পিছনে নিজ বাসায় বিশ্রাম নেয়ার সময় অজ্ঞাত দৃর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে রফিকুল্লাহকে নিশংস ভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।এরইমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রফিকুল্লাহ'র বাসার কেয়ারটেকার মিরাজ হোসেনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মোবাইল কললিষ্টের সূত্র ধরে একাধিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও তার রাজনৈতিক সতীর্থরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ এবং ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার বড় ভাই চাঁদপুরের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ জাবেদের ছোট ভাই। তাঁর কোনো শত্রু থাকতে পারে না। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশীদ জানান,ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টরকে।রোববার রাতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। ধারনা করা হচ্ছে, এসময় বাসায় তিনি একা ছিলেন। রফিকুল্লাহ কোম্পানির ময়নাতদন্ত রোববার সকালে চাঁদপুর মর্গে সম্পন্ন হয়।পরে স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলে এদিন বাদ যোহর নতুনবাজার হোটেল সফিন্ বোডিং এর পেছনে হেদায়েতুল্লাহ কোম্পানির মরহুমের বাড়ি মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ পেশাজীবি ও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা জানাজায় এবং দাফনে উপস্থিত ছিলেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতককে চিহ্নিত করা যায়নি।জেলা থানা পুলিশ,ডিবি পুলিশ,পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘাতককে চিহ্নিত এবং ধরার জন্য মাঠে তৎপর রয়েছে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমদ বলেন, রফিক ভাইকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তারা কতটা নিষ্ঠুর তা না দেখলে বুঝতাম না। সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল বলেন, নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এখনই খুঁজে বের করতে হবে।অন্যদিকে, হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।এলাকার আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দিন জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি, ডিবি ও পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। এরইমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিকউল্লাহর কেয়ারটেকার মিরাজ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের প্রতিও নজরদারি রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্যক্তিজীবনে বেশ সৌখিন ও অমায়িক স্বভাবের মানুষ ছিলেন রফিকুল্লাহ। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। চাঁদপুর শহরের লন্ডনঘাট এলাকায় তাদের পারিবারিক ব্যবসা সফিনা আবাসিক হোটেলের পাশে ২য় তলার একটি কক্ষে একাই বসবাস করতেন। বাসার নিচে বরফ কলের পাশে তার সুজ্জিত অফিস রয়েছে।তিনি শাহরিন ইলমা নামের একটি বরফ কলের মালিক ছিলেন।