প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫৩
উটতলী সেতু নির্মাণ প্রহরীর রহস্যজনক মৃত্যু
ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জের সীমান্তে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মানাধীন উটতলী সেতু নির্মাণ কাজের নৈশ প্রহরী (পাহারাদার) হারুন অর রশিদের (৫০) রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ। হারুন অর রশিদ হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের বন্দে আলী মিস্ত্রি বাড়ির মৃত আলী আহম্মদ আমুর ছেলে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের ও বহুল প্রতিক্ষীত ডাকাতিয়া নদীর উপর উটতলী খেয়াঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় সম্প্রতি। উক্ত সেতুর নির্মাণ কাজে প্রহরীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন হারুন অর রশিদ। মাত্র গত সপ্তাহে নৈশ প্রহরী হিসাবে কাজে যোগ দেন হারুন অর রশিদ। কাজে যোগদানের কদিনের মাথায় শনিবার সন্ধ্যায় কাজের স্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহতের স্বজনরা জানান, হারুন অর রশিদ উটতলী খেয়াঘাটের সেতুর নির্মাণ কাজের মালামাল রাতে পাহারা দেয়ার জন্য গত সপ্তাহে নৈশ প্রহরীর কাজ নেন। প্রতিদিনের মতো তিনি শনিবার বিকাল বেলায় বাড়ি থেকে বের হয়ে কাজের স্থলে যান। পরে সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তারা আরো জানান, হারুন অর রশিদের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
এদিকে সেতু সংশ্লিষ্ট লোকজন সংবাদকর্মীদের জানান, হারুন অর রশিদ হঠাৎ করে দাঁড়ানো অবস্থায় অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সময় শার্টারের সাথে লেগে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আউয়াল হোসেন বলেন, তিনি (হারুন অর রশিদ) হঠাৎ করে স্ট্রোক করে মারা যান। স্ট্রোক করার সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সময় মাথায় শার্টারের আঘাত পান। এখানে অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।