প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৫
ইউএনও বন্ধ করলেন কিশোরীর বিয়ে
কিশোরীর (১২) আনুষ্ঠানিক বিয়ে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সপ্তম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থীর বাবা-মা' সন্মতিতে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ১৮ বছর পূর্ন হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন এমন শর্তে কিশোরীর বাবা মা থেকে অঙ্গীকারনামা নেন ইউএনও রাশেদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার পাতলা বাড়ির আমির হোসেনের বাড়িতে। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনিতে অধ্যয়নরত।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের খবর শুনে এদিন রাতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে ঐ ছাত্রীর হাতে একটি বই তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ছাত্রীর বাবা ও মায়ের অঙ্গিকারনামা নেন।
উক্ত ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও পৌর প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারীকে জানান, মেয়েটির ১৮ বছরের আগে যাতে প্রকাশ্যে বা গোপনে এই বিয়ে দেয়া না হয়, সেজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কনে একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে বাড়িতে যাই। পরে কনে ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে এই বিয়ে বন্ধ করি। তিনি বলেন, অগোচরে এ বিয়ে হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।