প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২২, ১২:৫১
কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি জেল হাজতে

চাঁদপুর সদরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রমকালীন সময় জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের ৪.১ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তার চাল আত্মসাতের মামলায় কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রনিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
|আরো খবর
২৪ জুলাই রোববার দুপুরে মামলার ধার্য তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি শুনানি হয় চাঁদপুর জজ আদালতে। শুনানী শেষে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৮ মে সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় কল্যাণপুর ইউনিয়নের নিবন্ধিত ৬৭১জন জেলের চাল বিতরণের সময় পরিষদের দু’টি গোডাউনে বরাদ্দকৃত চালের ৫৩.৬৮ মেট্রিক টন চালের স্থলে ৪৯.৬০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যায়। ৪.১ মেট্রিক টন চাল কম থাকায় তাৎক্ষণিক বিতরণ কাজে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিজদা শাহনাজকে জানান এবং ওইদিনই চাঁদপুর মডেল থানায় তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রনিকে আসামী করে মামলা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দু’টি গোডাউন সীলগালা করে দেয়া হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামী চেয়ারম্যান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রনি এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগামী জামিন পান। ওই সময় উচ্চ আদালত জামিন দেয়ার পাশাপাশি মামলাটি নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষ হয় চলতি মাসের ১২ তারিখে।
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিৎ রায় চৌধুরী জানান, মামলার নিয়মিত তারিখে আসামী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হন। মামলাটি শুনানি হয়। জেলেদের খাদ্য সহায়তার ৮২ বস্তা (৪.১
মেট্রিক টন) চাল আত্মসাৎ করার কারণে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, অ্যাডঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডঃ আহসান হাবীব ও অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।
এদিকে, গত ১৮মে জেলেদের ৪৯.৬০ মেট্রি টন চাল দু’টি গোডাউনে সীলগালা অবস্থায় থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। যার কারণে চলতি মাসের ১৪ তারিখে জেলেদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী ও মামলার বাদী সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়।