প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২২, ১৬:২৫
ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কাউছারুল ইসলাম কামরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই পরিষদের ৩জন ইউপি সদস্য। রোববার (১৭ জুলাই) সকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন লিটন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত শুক্রবার (৮ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় মাঝে ভিজিএফ চাল ১০ কেজি হারে বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান ঐ কার্ডে নিজের ছবি ব্যবহার করে আমার নির্বাচিত ওয়ার্ড ব্যতিত প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য-সদস্যা এবং তার নিজের ব্যক্তিগত লোকদের মাধ্যমে ঐ কার্ড বিতরণ করেন। বিতরণের দিন ২নং ওয়ার্ড ও আমার ৮নং ওয়ার্ডের কতিপয় লোকদের কাছে ভুয়া কার্ড শনাক্ত করে ঐ কার্ডধারী লোকদের পরিকল্পিত বক্তব্য মোবাইলে রেকর্ড করেন চেয়ারম্যান নিজেই। পরে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. হাসান আলী ও আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিজিএফ’র চালসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন’র পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করার নিয়ম থাকলেও তিনি তা করেন নি। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরনের নিয়ম থাকলেও ট্যাগ অফিসারের প্রদেয় সময়কে উপেক্ষা করে ৭ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখে চাল বিতরণ করেন এবং তাৎক্ষনিক কোন মাষ্টার রোলও করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ইতিপুর্বে চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার একটি মামলা রয়েছে। সে জন্য তিনি আমার নির্বাচিত এলাকার মানুষদের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন। চেয়ারম্যানের পছন্দের মানুষদের তিনি ওইসব সুবিধার আওতায় আনেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান কর্তৃক শনাক্ত করা ঐ ভুয়া কার্ড আমার ওয়ার্ড ছাড়াও অন্যান্য সকল ওয়ার্ডে পাওয়া যায়। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে তাহর আমাদেরকে হেয় করার জন্য এই ঘৃণ্যতম কাজটি করেছেন তিনি। এছাড়া ওই ইউপি চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশিমত একতরফা ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি মাসে সকল সদস্যদের নিয়ে মাসিক মিটিং করার বিধান থাকলেও নিয়মিত মাসিক মিটিং করেন না তিনি। যে কোন সরকারি উন্নয়ন মূলক প্রকল্প আসলে তিনি আমাদের সাথে কোন রূপ সমন্বয় বা মিটিং ছাড়া নিজের খেয়াল খুশিমত বহিরাগত লোক দিয়ে নামমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়ন পত্রসহ বিভিন্ন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।চেয়ারম্যানের এসকল অনৈতিক বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার বাহিনী কর্তৃক আমরা অপমানিত ও লাঞ্চিত হই।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), ৪০ দিনের প্রকল্পে কোন ওয়ার্ডেই কাজ শুরু হয়নি। কিন্তু নামে বেনামে সিমকার্ড ব্যবহার করে উক্ত কর্মসূচির টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আ.ছোবহান লিটন’র পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে, ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম,২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আমিন পাটওয়ারী, স্থানীয় ছাত্রলীগনেতা মাসুদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে ওি ইউপি সদস্যরা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে রোববার।