শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২২, ১৭:১১

ফরিদগঞ্জে ভিজিএফ-এর নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে ভিজিএফ-এর নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণের নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম কামরুল নকল শতাধিক কার্ড জব্দ করেছেন। একই সাথে নকল কার্ডে চাল বিতরণের কারণে বঞ্চিত প্রকৃত কার্ডধারীদের নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চাল ক্রয় করে বিতরণ করেছেন। অভিযোগের তীর স্থানীয় কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ১৮৪৩জন কার্ডধারী ১০কেজি করে চাল বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস আমে কাউছারুল আলম কামরুল নিজে কার্ড তৈরি করে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে কার্ড বিতরণ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান এস আমে কাউছারুল আলম কামরুল জানান, গত শুক্রবার (৮ জুলাই) দিনব্যাপী এই কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণকালে কিছু নকল কার্ড ধরা পড়ে। যাতে তার মূল কার্ডের অবিকল করে লোকজনের কাছে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে এ ধরনের প্রায় ১৩০টি নকল কার্ড খুঁেজ পান। যাদের অধিকাংশই বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ পুর্বে যেগুলো ধরা পড়ে তাদের কার্ডগ্রহিতাদের জিজ্ঞাসাবাদ কালে ওই লোকজন জানান, ওই কার্ডগুলো তাদেরকে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে কার্ডধারীরা ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান আলী ও মোঃ ফারুক হোসেন লিটন এসব কার্ড তাদের দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। নকল কার্ডধারী ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকেনের স্ত্রী ও ৮ নং ওয়ার্ড রোকেয়া বেগম জানান, আমরা আমাদের এলাকার মেম্বাদের মাধ্যমে কার্ড পাই,আমরাতো জানি না এগুলো নকল কার্ড।

ইউপি চেয়ারম্যান এস এম কাউছার আলম কামরুল শনিবার দুপুরে জানান, নকল কার্ডের কারণে চাল কম হওয়ার কারণে আমি এখন আমার নিজ উদ্যোগে ১ টন চাল ক্রয় করে শনিবার (৯ জুলাই) বাকী কার্ডধারীদের চাল দিয়েছি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করা হবে।

এই ব্যাপাারে ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন লিটন জানান, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। অপর ইউপি সদস্য মোঃ হাসান আলী জানান , ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাকে ৯৫টি কার্ড দিয়েছে। আমি সেগুলো বিলি করেছি। নকল কার্ড কারা করছে আমি জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়