প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২২, ২০:২৯
মতলব দক্ষিণে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জায়গা প্রতিপক্ষরা জোরর্পূবক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বর্তমানে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জরুনা বেগম বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় প্রতিপক্ষ রেনু মিয়া ও রোকেয়া বেগম রকি গংদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
|আরো খবর
জানা যায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের তেলীমাছুয়াখাল গ্রামের মৃত মো. হামির আলী প্রধানের ছেলে আনছার আলী, মেয়ে রূপজান বিবি ও নাতী হাসমত আলী ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে সিএস ১৭৫ দাগে বাড়ি মোট ৮৩ শতাংশের মধ্যে বিএস ৫০৬ নং খতিয়ানে ৩৩৮ দাগে মোট ১০ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৬ শতাংশ সম্পত্তি একই এলাকার মৃত মো. মহর আলীর ছেলে মো. জামাল মিয়া, চারু মিয়া এবং মৃত চান মিয়ার স্ত্রী খতেজা বেগমের নামে সাবকাবলা দলিলমূলে ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বিক্রি করে দেন। উক্ত সম্পত্তি পূণরায় ১৯৯১ সালের ১১ মার্চ রূপজান বিবির কাছ থেকে ভূয়া দলিল করে ক্রয় করেন একই বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফজলুর রহমান ও ছাদেক আলী এবং আবদুল আলী জমাদারের ছেলে দুলাল ও শাহআলম গংরা। একই দাতা রূপজান বিবি ১৯৯২ সালের ৮ জুন একই দাগে একই এলাকার মৃত কাশেম আলী বেপারীর ছেলে মো. রেনু মিয়া, মো. অরুন মিয়া ও মৃত দুধ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও তার ছেলে জামাল হোসেনের নামে ভূয়া দলিল করে বিক্রি করেন। এর পর থেকেই রোকেয়া বেগম গংরা ওই তৃতীয় নম্বর দলিলমূলে মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছেন।
থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জরুনা বেগমের সাথে প্রতিপক্ষ রেনু মিয়া ও রোকেয়া বেগম গংদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধীয় জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠকের ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রতিপক্ষ রেনু মিয়া ও রোকেয়া বেগম রকি গংরা কোন প্রকার শালিসী বৈঠক না মেনে জোরপূর্বক জায়গা দখলের পায়তারা করছে। এরই সূত্র ধরে গত ১০ জুন রোকেয়া বেগম রকি বাদী জরুনা বেগমের মালিকানা জায়গা থেকে মূলবান কাঠের গাছ (রেন্ডি করই) জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বাদী জরুনা বেগমের ছেলে মো. সিরাজ জমাদার। উক্ত গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে রোকেয়া বেগম গংরা দেশীয় অস্ত্রসন্ত্র নিয়ে বাদী জরুনা বেগমকে মারধর করতে আসলে স্থানীয়দের সহায়তায় রক্ষা পায়। এসময় রোকেয়া বেগম গংরা প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দেয় বলে জানান তারা।
এদিকে এলাকবাসী অভিযোগ করে বলেন রোকেয়া বেগম রকি এলাকার একজন চিহিৃত সুদ ব্যবসায়ী। গত কয়েক দিন আগে সুদের টাকার জন্য এক জেলের বসতঘরে তালা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উক্ত বিরোধীয় জায়গা দখল-বেদখল করা নিয়ে বাদিনী জরুনা বেগম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান সিরাজ জমাদার। তিনি এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে রোকেয়া বেগম রকি জানান, আমি কোন গাছ কাটি নাই। আমি আমার গাছের ডালা কেটেছি। আমি কারো জায়গা দখল করি নাই। জায়গা এবং গাছ আমার নিজের।