প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪৮
১ বছর করে কারাদণ্ড
নদীর পাড়ের ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে আটক -৮
চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রয় করার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
|আরো খবর
আজ ১১ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন : চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার রাড়ীকান্দি এলাকার দুলাল সরকারের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২০), একই উপজেলার দক্ষিন গাজীপুর এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আরিফ হাসান (২৪), নিলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতনাই কলোনির মৃত. বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আঃ আলীম (২৪), একই এলাকার মোঃ আলেক নবীর ছেলে সুজন (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা গ্রামের অলি মিয়ার ছেলে আলী নূর (২০), শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আতিক উল্ল্যাহর ছেলে বিপ্লব (২৩), বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মুনসুর আলীর ছেলে মোঃ আল আমিন (২৫) ও নোয়াখালি জেলার কবিরহাট উপজেলার মজিবুল হকের ছেলে নূর নবী (৬০)।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর (চরফতেজংপুর বাজার সংলগ্ন) ও চরমুকুন্দী স্থানে নদীর তীরবর্তী কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রলার করে মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতো একটি চক্র। চক্রটি রাজনৈতিক বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে তা পরিচালনা করতো।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বিক্রি করার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে মাটি কাঁটার দায়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ওই ৮ জনকে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ১টি টিম।