প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ১৬:০০
মেঘনায় পাঙ্গাসের পোনা নিধন : বিরাট চাঁইসহ ৩৫০ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

এবার বৈশাখ মাস জুড়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে বড় আকৃতির চাঁই, বড়শি ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে অবৈধ পাঙ্গাসের পোনা নিধন করা হয়। একশ্রেণীর লোভী জেলে পাঙ্গাসের পোনাগুলোকে নদীতে বড়ো হবার সুযোগ না দিয়ে ধরে ফেলছে।
|আরো খবর
স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এবার নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাসের পোনার দেখা মিলেছে। শহর ও গ্রামের হাটবাজারে এবং নদীর পাড়ে মৎস্য আড়তে প্রকাশ্যে অবৈধ এই মাছ ক্রয়-বিক্রয় হতে দেখা গেছে। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে টনক নড়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ পৃথক অভিযানে ৩টি পাঙ্গাসের পোনা ধরার বিরাট চাঁই ও ছোট মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ৩৫০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) সকালে চাঁদপুর জেলা সদরের ডাকাতিয়া নদীতে এবং বিকেলে মেঘনা নদীর পুরাণবাজার রনাগোয়াল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এসব অভিযানে কেউ আটক হয়নি।
রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে কোস্টগার্ড স্টেশন থেকে অভিযান শুরু করে সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়ন এলাকায় গিয়ে ডাকাতিয়া নদী থেকে ৩৫০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়।
অপরদিকে বিকেলে অপর অভিযানে শহরের পুরাণবাজার রনাগোয়াল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি পাঙ্গাসের পোনা ধরার বিরাট চাঁই জব্দ করা হয়। এ সময় চাঁইগুলোতে থাকা ৭০ কেজি পাঙ্গাসের পোনা মেঘনায় অবমুক্ত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, চায়না দুয়ারি জাল ও পাঙ্গাস ধরার চাঁইগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে রয়েছে। এগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হবে। দেশীয় প্রজাতির রেনুপোনা এবং ছোট মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ জাল ও ফাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।