বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের প্রতি আস্থা রাখতে হবে
অনলাইন ডেস্ক

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী। তিনি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের চিকিৎসাঙ্গন বিভাগের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নেন : আলআমিন হোসাইন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে কোথায়?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : আমার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার অন্তর্ভুক্ত বালুচরা ইউনিয়নে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : চিটাগাং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে মাধ্যমিক এবং চিটাগাং কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করি। বরিশালের শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হওয়ার ভাবনাটি সূচনা হলো কীভাবে?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : আসলে বাবা-মা সবসময় বলতো তাদের একজন সন্তান চিকিৎসক হলে তারা অনেক খুশি হতেন। সেই কথা শুনে বড় হতে হতে মনে হলো তাদের এই ইচ্ছেটা আল্লাহপাকের রহমতে যদি আমি পূরণ করতে পারি তাহলে আমার অনেক ভালো লাগবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলুন।

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : আমার কাছে মনে হয়েছিলো যে, বাস্তবতা অনেক কঠিন এবং রোগীর চিকিৎসা করা এতো সহজ না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরে যোগদান করেছেন কবে?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : ২০১৫ সালে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার কাছে কোন্ ধরনের রোগী বেশি আসে?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : মেডিসিন বিভাগের রোগী আসে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগীদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : রোগীকে অবশ্যই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসককে সময় দিয়ে সহযোগিতা করা অত্যন্ত জরুরি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাজীবনের একটি সুখের এবং একটি দুঃখের স্মৃতির কথা বলুন।

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : চিকিৎসক হওয়ার পরে যখন প্রথমবার আমার বাবা-মায়ের চিকিৎসা করেছি সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে সুখের স্মৃতি। যখনই কোন রোগের মৃত্যু নিজে ডিক্লেয়ার করেছি তখনই মনে হয়েছে চিকিৎসক হয়েও আমি এই রোগীকে সুস্থ করতে পারেনি এটা আমার একটা বিশাল ব্যর্থতা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে অনেক বেশি রোগী হ্যান্ডেল করতে হয় এটা আমার মনে হয় ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করার ক্ষেত্রে একটা বিশাল বাধা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলে প্রথম যে তিনটি কাজ করতেন?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : প্রতিটা ইউনিয়ন লেভেলে বর্তমানে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে সেটাকে আরো শক্তিশালী করা। উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সব পর্যায়ে সচেতনতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : অন্য অনেক জেলার চেয়ে চাঁদপুর জেলার মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান বর্জন করা, লবণ, চর্বি, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং বিপুল ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার পরিহার, মদ্যপান না করা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা, পর্যাপ্ত নিরুপদ্রব ঘুম এবং দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন আমাদের অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসরে কী করেন?

ডাঃ মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী : পরিবারের সাথে সময় কাটাই এবং মুভি দেখি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়