প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৩, ০০:০০
ক্যালেন্ডারের পাতায় গ্রীষ্মের শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও গরমের দাপট দেখানো কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোদ, বাড়তে থাকে তাপমাত্রা, বাড়তে থাকে অস্বস্তি। এই প্রচণ্ড গরমে বড়দের মত শিশুদের অবস্থাও নাজেহাল। আর সেক্ষেত্রে শিশুরা যেহেতু স্পর্শকাতর তাই গরমে তাদের দরকার বাড়তি যত্ন। গরমকালে শিশুর যত্ন নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারহানা পারভিন ফ্লোরা । চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
যত্ন
অত্যধিক গরমে ঘেমে গিয়ে শিশুর পানিশূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পর পর শিশুকে পানি অথবা ফলের রস খাওয়ান। এছাড়া শিশুর পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সিজনাল ফলও খাওয়াতে পারেন। চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ মত স্যালাইন কিংবা গ্লুকোজ খাওয়াতে পারেন।
যেসব শিশুদের বয়স ৬ মাসের কম, তাদের ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধই একমাত্র খাদ্য। সেক্ষেত্রে বার বার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চা খেতে না চাইলে বারে বারে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।
সহজে হজম হবে এমন শাক সবজি, মাছ, খিচুড়ি বাচ্চাকে দিতে হবে। যতটা সম্ভব তরল বা নরম খাবার দেয়া উচিত। গরমে তেল মসলা, ভাজাভুজি, ঝাল ঝোল ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই উপকারী।
যত্ন
সুতি কাপড়ের পানি শোষণ ক্ষমতা বেশি। তাই গরমে বাচ্চাকে সুতির জামা পরিয়ে দিন। জামা ভিজে গেলে সাথে সাথে জামা খুলে শরীরের ঘাম মুছিয়ে দিন। হালকা করে পাউডার দিতে পারেন। ঘাম শুকিয়ে এলে অন্য জামা পরিয়ে দিতে হবে। গায়ের ঘাম যেন গায়েই না শুকায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গরমে দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি করলে শিশু ঘেমে গিয়ে ঠাণ্ডা লাগতে পারে। তার জন্য বিভিন্ন ইনডোর গেমস যা ঘরে বসেই খেলা যায় অথচ শারীরিক পরিশ্রমও হয় না এমন খেলার সরঞ্জাম কিনে নিতে পারেন।
গরমে বাচ্চাকে নিয়ে দূর পাল্লার ভ্রমণে না যাওয়াটাই ভালো হবে। বিশেষ করে বদ্ধ গাড়ি কিংবা বাসে ভ্রমণ করা একেবারেই উচিত না। সম্ভব হলে নদীপথে লঞ্চ জার্নি করা যেতে পারে। নিতান্তই প্রয়োজন হলে, সব ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা নিয়ে তবেই ভ্রমণ করুন।