মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

দেহের প্রধান শত্রু টক্সিন
অনলাইন ডেস্ক

(শেষ পর্ব)

টক্সিন এক ধরনের বিষ। এটি বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে নিস্তেজ করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত এই ক্ষতিকর টক্সিন অবাদে প্রবেশ করছে। কখনো নিজের অজান্তে আবার কখনো জেনে-শুনে প্রবেশ করাচ্ছি এই ভয়ঙ্কর বিষ। পূর্বেই উল্লেখ করেছি আমাদের শরীর আল্লাহতা’য়ালার এক আশ্চার্য সৃষ্টি। সে নিজেই যা নিয়ে দেয় তার সমস্যা।

টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে কী কী সমস্যা হয় : মস্তিষ্কের নিউরন কোষে (স্নায়ুকোষ) টক্সিন জমে থাকে ও সাইনোসাইটিস, ক্রমাগত মাথাব্যথা (মাইগ্রেনের সমস্যা), অনিদ্রা, টেনশন ও হাইপ্রেশার ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে হাঁটু ও কোমড়ে ব্যথা হয় এবং পায়ের সাইটিকা স্নায়ু শক্ত হয়ে যায় ফলে উঠলে বসতে পারে না, ও বসলে উঠতে পারে না।

কিডনী রক্তের টক্সিন ছেকে বের করে দেয়, শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনী অধিক কাজ করতে হয়, ফলে কিডনী দুর্বল হয়ে যায় এবং এর কর্মক্ষমতা লোপ পায়। তখন এই অতিরিক্ত টক্সিন ঘামের সাথে বের হয় ফলে বিভিন্ন প্রকার চর্ম রোগ দেখা দেয়।

লিভার টক্সিনকে ধ্বংস করে। শরীরে টক্সিন বেড়ে গেলে লিভারকে অধিক কাজ করতে হয়। ফলে শরীরের উত্তাপ বেড়ে যায় এবং প্রচুর ঘাম বের হয়।

টক্সিন বেড়ে গেলে শরীরের ওজন বাড়তে থাকে, দেখা যায় খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা বিভিন্ন প্রকার ব্যয়াম করেও ওজন কমানো যায় না। তাছাড়া শরীরে টক্সিন বেড়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে উঠা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

শরীর থেকে টক্সিন বেড় করার পদ্ধতি

প্রথম পদ্ধতি : দু চামচ কফি পাউডার, এক চামচ কাস্টোর-ওয়েল ও পাঁচ মিলি পানি ভালভাবে মিশিয়ে রাত্রে ঘুমানোর আগে ঢুস দিন। এই মিশ্রণ শরীরের টক্সিনকে জ্বালিয়ে দেয়। এই পদ্ধতি একনাগারে সাতদিন ব্যবহার করে আমার এক রোগীর ওজন প্রায় আট কেজি কমেছে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি : দুটি পেঁয়াজ নিন। প্রতিটি পেঁয়াজ পাঁচ টুকরা করে (পঁয়সার মত) কেটে নিন। রাত্রে সোয়ার সময় প্রতিটির মাঝের তিন টুকরা নিয়ে দু পায়ে মোজার মাধ্যমে অথবা নেকড়া পেচিয়ি আটকিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে পেঁয়াজের টুকরাগুলো মাটিতে পুতে রাখুন। পেঁয়াজ শরীর থেকে টক্সিন টেনে বের করে নেয়।

প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সময় এক পিচ পেঁয়াজ কপালে বেঁধে রাখলে অল্প সময়ে মধ্যে ইনশাআল্লাহ মাথা ব্যথা ভাল হয়ে যাবে। এভাবে কয়েক দিন বেঁধে রাখলে মাইগ্রেনের সমস্যা ভাল হয়।

জ্বরের হলে এক পিচ পেঁয়াজ কপালে রেখে দিলে দ্রুত জ্বর সেরে যায়।

সর্দি, সাইনোসাটিস, নাক ডাকা ও ঘন ঘন হাঁচি আসা ইত্যাদি সমস্যায় রাত্রে সোয়ার সময় এক পিচ পেঁয়াজ কপালে বেঁধে রাখলে কয়েক দিনের মধ্যেই এসব সমস্যা ভাল হয়ে যাবে। এভাবে শরীর থেকে টক্সিন বের করলে প্রথম প্রথম হালকা দুর্বলতা অনুভব হতে পারে, ভয়ের কোনো কারণ নেই।

অনেক সময় দেখা যায় শরীরের কোন একটি সমস্যার জন্য চিকিৎস্যা করলে অনেক সময় নতুন কোন সমস্যা দেখা দেয় একে আকুপ্রেশারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তা শরীরের সুপ্ত রোগ, চিকিৎস্যার ফলে জাগ্রত হয়েছে। যেমন :

১. কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের চিকিৎস্যা করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়, অনেক সময় মলত্যগের তাজা রক্ত বের হয়। তা অন্ত্র অথবা মলদ্বারে ক্ষত থাকার কারণে বের হয় নতুন কোন সমস্যা নয়। এই ক্ষেত্রে ওই অঙ্গগুলোর বিন্দুতে চিকিৎস্যা করলে সেরে যায়।

২. কিডনী রোগীর চিকিৎসার সময় সামান্য পানি পান করায় অনিয়ম হলে অথবা পরিশ্রম করলে অথবা ভ্রমণ করলে এমনকি হ্যান্ড-রোলার ফুট রোলার রোলিং করলে হাত পা ফুলে যায়। চিকিৎসা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। (সমাপ্ত)

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ্ উদ্দিন : বিভাগীয় প্রধান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু

সরকারি ডিগ্রি কলেজ। ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।

প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা

চিকিৎসাঙ্গন বিভাগ, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ

আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুরের বাসভবন (২য় তলা) স্ট্র্যান্ড রোড, চাঁদপুর।

ই-মেইল : [email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়