শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে
অনলাইন ডেস্ক

তিন তিনবার বিশ্বকাপ জয় করার জন্য পেলে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় (নারী কিংবা পুরুষ), যিনি এতোবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন। তিনি তাঁর ক্লাব ও দেশের হয়ে ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচ খেলে মোট ১ হাজার ২৮১টি গোল করেছেন, যা বিশ্ব রেকর্ড। ফুটবল খেলায় পেলে যে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন, সেটা মানুষের কল্পনার সীমাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল খেলাধুলার বাইরের জগতেও।

এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। অনেকেই হয়তো এই নামটার সঙ্গে অপরিচিত। তিনি আর কেউ নন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ‘পেলে’। চরম দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে ফুটবল জগতে আলো ছড়ানো পেলে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছিলেন নিজ গুণেই। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন কালো মানিক বলে খ্যাত ফুটবল সম্রাট পেলে। বিভিন্ন ক্রীড়াভিত্তিক গণমাধ্যম থেকে পেলেকে নিয়ে অনেক কিছুই জানা গেছে।

ফুটবলটা তিনি ভালোই খেলতেন। এতোই ভালো যে, ১৬ বছর বয়সেই ঠাঁই মিললো সান্তোসের মূল দলে। তখনও তো ক্লাব ফুটবলের এতো রমরমা দাপট ছিলো না, নিজ ভূমি ছেড়ে পরের দেশের ক্লাবে নিজেকে প্রমাণ করার ধারণাও করে উঠতে পারেনি বিশ্ব। ক্লাবের চেয়ে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়াটাই নিজেকে সেরা প্রমাণের প্রথম ধাপ বলে বিবেচিত ছিলো। সেই সিঁড়িতে পা ফেললেন ১৬-তেই।

পেলে তাঁর বয়স ১৭ পেরিয়ে ১৮ হওয়ার আগে তো খেলে ফেললেন বিশ্বকাপই। সেই দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও কতো গল্প! লুইজিনহো ততদিনে করিন্থিয়ান্সের কিংবদন্তি, বিশ্বকাপেও তো তারই খেলার কথা। কিন্তু হুট করেই অনুশীলনের মাঠে পেলের আবির্ভাব, তার মুখোমুখি হয়েই নাকি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের মনে হয়েছিল ‘ওকে ছাড়া চলবে না।’ কোচের সঙ্গে তাদের দর-কষাকষি, করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সঙ্গী হওয়া চোট, বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ না খেলা। ব্রাজিলের চিরকালীন দুঃখগাঁথায় যে অধ্যায় পেয়েছে ‘মারাকানাজো’ নাম, পেলে সেই অধ্যায়ের নিবিষ্ট পাঠক নন একদমই, যা ছিলেন তাঁর বাবা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর ৮ বছরের পেলে দেখেছিলেন, জীবনের অর্ধেক পার করে ফেলা বুড়োর চোখে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের হারে। তখনই শপথ করে ফেলেছিলেন, বাবাকে বিশ্বকাপ এনে দেবেন।

পেলে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে প্রথমবার মাঠে নামলেন। সেদিন গোল না পেলেও পরের তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ গোল। প্রথমবারের মতো ব্রাজিল পেলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। আঠারোর পেলে তখন উদীয়মান তারকা, বিশ পেরোনোর আগেই ‘জাতীয় সম্পদ’।

পেলে নামটা প্রথম কোনো মানে পেলো সেবারই। যা হলো ‘বাবাকে দেওয়া কথা রাখা’। যে বিশ্বকাপের খোঁজে লিওনেল মেসি হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ালেন একটা জীবন, যে বিশ্বকাপ দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বানিয়ে তুললো ঈশ্বর, ওই শিরোপা তিনি জয় করেছেন তিনবার। ১৯৬২ বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব তো না খেলেই পাচ্ছেন তিনি। পাল্টা জবাব আসতে সময় লাগার কথা নয়। খেলেননি বলার চেয়ে তো এটাই বলা ভালো, ‘তাকে খেলতেই দেওয়া হলো না।’

তখন জমানা শরীর-নির্ভর ফুটবলের। বলের দখল নিয়ে ছোট ছোট পাসে খেলার বদলে সোজা প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে উড়িয়ে মারাটাই তখনকার কৌশল। আর বলের চেয়ে ফুটবলারদের গোড়ালিতে লাথি মারতেই বেশি আগ্রহ ছিলো প্রতিপক্ষের। আর ব্রাজিলকে থামানোর অস্ত্র তো তখন সর্বজনবিদিত। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার এক ম্যাচেই ৪২ বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন তিনি, হালেফিলে পুরো মৌসুমেও এতোবার ধরপাকড়ের শিকার হন না কেউ। ফিটনেস-পুষ্টিবিজ্ঞানেও আজকের মতো এতো গুরুত্ব দেওয়ার অবকাশ ছিল না। সঙ্গে যোগ করুন বাধ্যতামূলক সৈনিকের চাকুরি। কোনো ফুটবলার একই সময়ে পাঁচটা ভিন্ন দলের হয়ে মাঠে নামছেন, এই ছবিও তো পেলেই দেখিয়েছিলেন ’৬২ সালে। একের পর এক ম্যাচ খেলার ধকলে উরুটা বেগড়বাই করেছে বাকি জীবন ধরেই। বদলি ফুটবলার নামানোর নিয়ম চালু হয়নি বলে প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকলে কুঁকড়ে গিয়েও পেলের মাঠে থাকার দৃশ্যও তখন রোজকার। এই নিয়েই তিন বিশ্বকাপ, সাদা-কালো টেলিভিশনেও হাজারটা রঙিন স্মৃতির জন্ম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও আপনার দেখতে পাওয়ার কথা বেশ ক’বারই। কেউ নাটমেগ করছেন, কেউ র‌্যাবোনা মারছেন, কেউ ডাবল ড্র্যাগ ব্যাকে মুগ্ধ করছেন; কিন্তু প্রতিটা কারিকুরিই শেষ হচ্ছে পেলের কোনো না কোনো ছবি দেখিয়ে। মেসি-রোনালদো-নেইমার-ভিনিসিয়াসরা যে মুহূর্তগুলোতে আজ মুগ্ধ করছেন, পেলে সেসব দেখিয়ে গেছেন অর্ধশতাব্দী আগেই। আর গোলগুলোও কী দর্শনীয়! ডান পায়ের জোর স্বভাবসুলভ, বাঁ পায়েই বা খারাপ নাকি? ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়েই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের। গর্ডন ব্যাঙ্কসের যে সেভটাকে মানা হয় সর্বকাল-সেরা, সেটা তো তাঁরই হেডের ফসল।

সত্তরের দশকে পেলের শরীরকে গিনিপিগ বানানো হয়েছিল ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই বেরিয়ে এসেছিল, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নিখুঁত মানবশরীর হিসেবে যে গঠনের ছবি এঁকেছিলেন, পেলে যেন ঠিক তা-ই। তখনকার অন্য অ্যাথলেটদের যেখানে প্রতি মিনিটে ৯০/৯৫ বার হৃদ্স্পন্দন হতো, পেলের হৃদযন্ত্র প্রতি মিনিটে কাঁপতো ৫৬/৫৮ বার। মানে, অন্যদের তুলনায় ক্লান্তি কম ছুঁতো তাকে। পা জোড়া ছিল সমান্তরাল, গোড়ালির হাড়গুলো প্রচণ্ড শক্তিশালী। যে কারণে ৫ফুট ৮ ইঞ্চি হওয়ার পরও দ্রুত দৌড়াতে কোনো বাধা হয়নি উচ্চতা। সঙ্গে উঁচু লাফ বা হাই কিকের পর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবেও কাজ করেছে পা।

সপ্তাহভরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা তাই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘শারীরিক কিংবা মানসিক যে কাজেই এই লোক নিজেকে যুক্ত করতেন, জিনিয়াস হয়ে বেরোতেন।’ পেলে অবশ্য বলতেন, তিনি আলাদা হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্পর্শ গুণে। অজস্র প্রমাণও পাওয়া যাবে ঘাঁটলে, পেলের ছাঁচ হিসেবে ওই তিন স্পর্শের ফুটবলের কথাই আসবে। প্রথম স্পর্শটা বুকে, যে স্পর্শ বলের সঙ্গে সঙ্গে কাছে টানতো প্রতিপক্ষকেও। পরেরটা পায়ে কিংবা হাঁটুতে, যে স্পর্শে তিনি ঘুরে যেতেন ১৮০ ডিগ্রি। ওই টার্নের চক্করেই প্রতিপক্ষের পা বাঁধা পড়তো শেকলে, হয়ে যেতেন চলৎশক্তিরহিত। শেষ স্পর্শটাই তার জন্য শিশুসুলভ। গোল করার জন্য যে স্পর্শ লাগতো।

পেলে বলতেন ‘আমার অনেক সতীর্থই বল নিয়ে ভালো দৌড়াতে পারে, ভালো ট্যাকল করতে পারে। কারিকুরিতেও ওরা ভালো। কিন্তু, ওদের সবাই বোধ হয় বল কীভাবে রিসিভ করতে হয়, সেটা জানে না। সম্ভবত ওদের সেই দেখার চোখটা নেই, যা আমার আছে। এটা খুব সম্ভবত শেখানোর জিনিসও নয়।’

সারা পৃথিবী তন্ন তন্ন করে পেলে বলে একটা শব্দ পাওয়া যায় হিব্রু ভাষায়। ওখানেই কি লুকিয়ে পেলের ‘যা শেখানো যায় না’ সেই শিক্ষালাভের ব্যাখ্যা? একদম যে অখ্যাত, অলিম্পিয়াকোসকে সেই কাতারে ফেলা যাবে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিয়মিত সদস্য, এ পর্যন্ত ৪৬ বার লিগ এবং ২৮ বার গ্রিক কাপ জিতে দেশের সবচেয়ে সফল দলও, তবুও একটা প্রীতি ম্যাচের জয়ই নাকি তাদের ইতিহাসের সেরা! কারণ তো এটাই, জয়টা পেলের বিপক্ষে। আর তিনি তো সেরা।

১৯৭০ বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হওয়া ভদ্রলোক একবার পড়েছিলেন কিছু সিরিজ প্রশ্নের মুখে, ‘ব্রাজিলের সেরা গোলকিপার কে?’ সালাদানা বলেছিলেন, ‘পেলে।’ পরবর্তী প্রশ্ন, ‘বেশ, তাহলে সেরা রাইটব্যাক?’ এবারও উত্তর, ‘পেলে।’ মোটামুটি দলের অর্ধেক পজিশনে পেলের নাম বলার পর সালাদানা খানিক হেসে ভেঙ্গেছিলেন রহস্যটা, ‘পেলে যে কোনো পজিশনেই বিশ্বের সেরা ফুটবলার।’

শুধু কি সালদানো? ববি মুর, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ইউসেবিওর মতো কিংবদন্তিরা তার শ্রেষ্ঠত্বকে বলেছেন তর্কাতীত। এমনকি যেই দিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তার তুলনা টানতে চায় দুনিয়া, সেই ম্যারাডোনার কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি তো বলছেন, শুধু ম্যারাডোনাকে দিয়ে হবে না, এর সঙ্গে ইয়োহান ক্রুইফ, লিওনেল মেসি, জার্ড মুলার মেশালে তবে পেলে হয়।

মিশেল প্লাতিনির কথাটাই কি সত্যি তাহলে? ‘পেলে হওয়া মানে ঈশ্বরের মতো খেলা!’ খেলতে শুরু করেছিলেন যখন, বল কেনারও পয়সা ছিল না। মায়ের মোজায় কাগজ পুরে শিখতে শুরু করেছিলেন ফুটবলের কারিকুরি। রাস্তার কাদা আর পানি ভরা খানাখন্দ তখন তার প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার, দরিদ্রতা বিপক্ষের গোলরক্ষক। জান-প্রাণ বাজি রেখে ফুটবল খেলেও যে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেননি তাঁর বাবা, গারিঞ্চাসহ অনেকেই।

প্রতিপক্ষ তো তখন গায়ের রঙও। ব্রাজিলে যখন ফুটবল খেলা শুরু হলো, তখন খেলার অধিকার ছিল কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গদেরই। কালো বর্ণের লোকেরা, সহজে যাদের শ্রমিকই বলা যায়, তারা খেলা দূরে থাক, খেলা দেখতেও পারতো না। মাঝে লিওনিদাস এসে খানিকদিন এই বর্ণবৈষম্যের বিষবাষ্প দমিয়ে রাখলেও সেই ঢাকনা সরে যেতে সময় লাগেনি। এমনকি ‘মারাকানাজোর’ পরেও বেছে বেছে কৃষ্ণাঙ্গদেরই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছিল ব্রাজিলে। শ্বেতাঙ্গরা শুভ্র, ম্যাচ হারানোর কলঙ্ক তো তাদের নয়।

পৃথিবীটাও এমন হাতের মুঠোয় চলে আসেনি। দুনিয়া দেখতে হয় পশ্চিমাদের চোখ দিয়ে। যে চোখে তারাই শ্রেষ্ঠ। সেই সময়টায় ব্রাজিলের মতো তৃতীয় বিশ্বের এক দেশে জন্মেও অবিসংবাদিত সেরা হওয়ার এমন দাবি উত্থাপন, পেলে ছাড়া আর কেউ কি পেরেছেন? এখনও?

সর্বকাল সেরা, ১২৮৩ গোল, তিনটা বিশ্বকাপ, খ্যাতি, সম্মান, মর্যাদা পেলের সমার্থক হয়ে অনেক শব্দই বসেছে কালক্রমে। বিপরীতার্থক শব্দ হিসেবে তৈরি হয়েছে মেসি-ম্যারাডোনাও। তবে এতো পালাবদলেও ধ্রুব হয়ে টিকে রইলো বোধ হয় ওই মানেটাই। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে তিনি যে বলে যেতে পেরেছিলেন, ‘পেলের মৃত্যু নেই’, তার রহস্যও লুকিয়ে ওখানেই।

তৃতীয় বিশ্ব, দারিদ্র্য, কৃষ্ণকায়-শোষিত হওয়ার ভাগ্য নিয়েই তো জন্মেছিলেন সাও পাওলোর সাদামাটা এক ঘরে। সেই তিনি যখন হয়ে উঠলেন তামাম দুনিয়ার ‘ও রেই’, তখন তো পেলে মানে কেবলই সেরা থাকল না, হয়ে উঠল সেরা হওয়ার ওই বিশ্বাসটা।

গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে ব্রাজিলে ৪৩ হাজার ৫শ ১১ জনের নাম ছিল এডসন। কিন্তু এর দুই দশক পর, পেলে যখন এক হাজারেরও বেশি গোল করেন এবং তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন, তখন এই নামের মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি।

লেখক পরিচিতি : সাবেক ফুটবলার ও ব্রাজিল সমর্থক; টিম ম্যানেজার, চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়