রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফিরে আসা

আনিস ফারদীন
ফিরে আসা

এক.

আজ নীলার বিয়ে। ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে তার। সারা বাড়িতে হৈ-হুল্লোর। পুরো বাড়ি সেজেছে বর্ণিল সাজে। নাচে-গানে একবারে একাকার। সব আত্মীয়-স্বজন এসে পড়েছে বাড়িতে। ঢাকা থেকে সব কাজিনরাও এসে গেছে। এ যেন চাঁদেরহাট বসেছে। সবাই খুব হাসিখুশি। বর এসে গেছে এতোক্ষণে। নীলা বিষণ্ণ মনে বসে আছে বিয়ের আসরে। এই বিয়েতে যে তার সায় নেই। ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়ে হচ্ছে বলা চলে। একমাত্র বাবার স্ট্রোকের কারণে এ বিয়েতে রাজি হতে হয়েছে তাকে। না হয় পৃথিবীর কোনো কিছুই এ বিয়েতে রাজি করাতে পারতো না নীলাকে। কারণ সে তো ভালোবাসে স্বপ্নীলকে। স্বপ্নীল তার ইউনিভার্সিটির স্যার ছিলেন। নীলার চোখে জল গড়াচ্ছে যেন। তার ভালোবাসার প্রিয় মানুষটিকে পর করে দিয়েই অচেনা কাকে যেন বিয়ে করতে হচ্ছে তার। ছেলেটিকে এখনো একবারের জন্যও দেখেনি নীলা। কারণ ছেলের সম্পর্কে জানার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার পরিবারের সবার পছন্দ যেখানে, সেখানে তার কিই-বা করার আছে। মায়ের কাছে শুনেছে ছেলে বনেদি ঘরের। বিদেশে পড়াশোনা করেছে। সামনে হয়তো সেখানেই সেটেল্ড হবে। পরিবার ওই ছেলের কোয়ালিফিকেশন আর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে এক কথায় রাজি হয়ে যায়। একমাত্র রাজি ছিল না নীলা। কিন্তু পারিবারিক সিদ্ধান্তের বাহিরে আসতে পারেনি নীলা। কারণ বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুশয্যায়। বাবা জুলফিকার তার মৃত্যুর আগে মেয়ে নীলাকে বিয়ে দিয়ে শান্তিতে মরতে চায়। বলা চলে পারিবারিক চাওয়া হয়ে ওঠেছে নীলার চাওয়া। কিন্তু নীলার চোখে এখনো ভাসছে স্বপ্নীল স্যার।

দুই.

স্বপ্নীল স্যারের সাথে নীলার প্রথম দেখা ইউনিভার্সিটির শ্যাডোতে। প্রথম যেদিন দেখা সেদিন স্যার একটা বাইক নিয়ে এসেছিল ক্যাম্পাসে। প্রথম দেখাতেই কেন যেন ভালো লেগে যায় তার। ক্লিন সেভ, চেক শার্ট, চোখে চশমা। পারফেক্ট জেন্টেলম্যান। এক কথায় সুদর্শন পুরুষ। স্যার ছিলেন ইংরেজি বিষয়ের। নীলা ইকোনোমিকস-এর স্টুডেন্ট। নীলাদের একটা নন-মেজর সাবজেক্টস-এর ক্লাস করাতেন স্বপ্নীল স্যার। প্রথম নীলার মনে হয়েছিল স্বপ্নীল স্যার এখানের সিনিয়র কোনো বড় ভাই। প্রায় সময়ই স্যারকে ফলো করতো নীলা। এভাবে বছর খানেক ফলো করার পর নীলা জানতে পারে স্বপ্নীল তার ইউনিভার্সিটির স্যার। তবে অন্য ডিপার্টমেন্টের। নীলা কথা বলার সুযোগ খুঁজতে থাকে স্বপ্নীল স্যারের সাথে। থার্ড ইয়ারের নীলাদের একটা নন-মেজর কোর্স আছে। আর সে ক্লাসটি নেওয়ার দায়িত্ব পায় স্বপ্নীল স্যার। নীলার জন্য এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। নীলার মনে কতোকিছু ভাসছে। ক্লাস শুরু হয় নীলাদের। স্বপ্নীল স্যার প্রথম যেদিন ক্লাস করাতে আসেন, নীলা পুরো সময় মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে স্যারের দিকে। পড়ার চেয়ে নীলার মন যেন স্যারের দিকেই বেশি। স্যার এতো সুন্দর করে পড়ান, সবাই যেন বুঁদ হয়ে যায় স্যারের ক্লাসে। অমায়িক একজন মানুষ। এক কথায় অসাধারণ। স্যারের বাচনভঙ্গি, উপস্থাপনা, শিক্ষার্থীদেরকে বুঝানোর দক্ষতা যে কোনো শিক্ষার্থীকে মুগ্ধ করে অনায়াসে। আজকাল নীলার শুধু স্বপ্নীল স্যারের ক্লাসটাই করতে মন চায়। স্যার ক্লাসে আসলে মনে হয় যেন খুব দ্রুত সময় শেষ হয়ে যায়। নীলা মনে মনে ভাবে, ইশ! যদি স্যার ক্লাসে আরও একটু বেশি সময় ধরে পড়াতেন। নীলা স্বপ্নীল স্যারের কোর্সের সবগুলো পরীক্ষায় ভালো করে। এতে স্যারের কাছেও পরিচিত হয়ে ওঠে ভালো করে। স্যারের সাথে পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ আসে নীলার। নীলা কথা বলে আর মুগ্ধ হয়। স্যারও নাকি খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন। এ যাবৎকালে ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এ সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী শিক্ষার্থী ছিলেন স্বপ্নীল স্যার। ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেছেন বছর দুয়েক হলো। এখনো নীলার স্পষ্ট মনে পড়ে সেই পহেলা বৈশাখের কথা স্যার সেদিন তাদের সেকশনের সবাইকে ট্রিট দিয়েছিল। সব শিক্ষার্থী মুগ্ধ। তাছাড়া অনেকগুলো সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত স্যার। কিছুদিন আগে পত্রিকায় নিউজ হয় স্যারকে নিয়ে। স্যারের নাকি একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান আছে। সে প্রতিষ্ঠান থেকে গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাতে সহায়তা করা হয়। স্যার প্রতিমাসের প্রাপ্ত বেতনের ৫০% দিয়ে দেন এ ফান্ডে। বাকি আরও অনেকের থেকে ফান্ড কালেক্ট করেন এই চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে মানবিক শিক্ষক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। স্যার এখন প্রায় সবার কাছেই জনপ্রিয়। এতো অল্প সময়ে এমন জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ খুব কম স্যারই পেয়ে থাকেন। সময় যায়, আর স্বপ্নীল স্যারের প্রতি নীলার মুগ্ধতা বেড়ে আকাশচুম্বী হতে থাকে। নীলা মনে মনে ভালোবেসে ফেলে স্বপ্নীল স্যারকে। নীলা মনে প্রাণে চায়, স্যার তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠুক। স্যারের হাত ধরে জীবনে শেষ সূর্যাস্ত দেখতে চায় নীলা। স্বপ্নীল স্যার নিজেও জানতো নীলা তাকে খুব পছন্দ করে। নীলার আচার-আচরণে স্যার টের পায় কিছুটা। কিন্তু নীলাকে বুঝতে দেয় না স্বপ্নীল স্যার।

তিন.

একদিন কৃষ্ণচূড়া ফোটা, কোকিলের ডাকা বসন্তের মন-মাতানো বিকেলে ক্লাস শেষে নীলা প্রপোজ করে বসে স্বপ্নীলকে স্যারকে। স্বপ্নীল স্যার কিছুই বলেনা নীলাকে। তিনি চলে যান। স্বপ্নীল স্যারের উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে নীলা। স্বপ্নীল কি উত্তর দেয় তার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে নীলা। কিন্তু নীলাকে হতাশ করেন স্বপ্নীল স্যার। কারন একদিন নীলা হঠাৎ শুনতে পায় স্বপ্নীল স্যার নাকি দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আর আসবেন না দেশে। নীলা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। কিছু ভালো লাগে না তার। ক্যাম্পাসে গেলে নীলা শুধু স্বপ্নীল স্যারকে খোঁজে। নীলা যে স্যারের প্রেমে দেওয়ানা এবং হাবুডুবু খাচ্ছে ইতিমধ্যে ক্লাসের অনেকে জেনে গেছে। সবাই নীলাকে নিয়ে হাসা-হাসি করে ইদানীং। এতে অবশ্য নীলার কিছু যায় আসে না। নীলা শুধু স্যারকেই ভালোবাসে। এর বাহিরে আর কিছু ভাবতে পারে না নীলা। তার বিশ্বাস স্বপ্নীল স্যারই হবে তার বাকি জীবনের আশার আলো, স্বপ্নের হাতছানি।

স্বপ্নীল স্যার পিএইচডি করছে কানাডার কুইবেক ইউনিভার্সিটিতে। তিন বছর হতে চলেছে। আর এক বছর পর দেশে ফিরবে স্বপ্নীল স্যার। তবে নীলার সাথে স্বপ্নীল স্যারের সাথে যোগাযোগ নেই এই তিন বছর। নীলার পড়াশোনা শেষ হয়েছে বছর খানেক হল। এখনো যোগাযোগ নেই কারো সাথে কারোর। স্বপ্নীল স্যার যে ফেইস বুক আইডি ব্যবহার করতো তাও ডিএক্টিভ করে ফেলেছিল বিদেশে গিয়ে। নীলা অনেক চেষ্টা করেছে স্যারের সাথে অনন্ত একটি বারের জন্য হলেও কথা বলতে। নীলা স্বপ্নীল স্যারের পথ চেয়ে অপেক্ষা করে। অপেক্ষা তীব্র থেকে তীব্র হয়। মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে গিয়ে খোঁজ নেয় স্যারের কিন্তু কেউ এক্সাক্টলি কোনো খোঁজ দিতে পারে না স্যারের। কিন্তু নীলার দৃঢ় বিশ্বাস স্বপ্নীল স্যারের সাথে তার আবার দেখা হবেই হবে। সে আশা ছাড়ে না স্বপ্নীল স্যারের। মনে মনে ভাবে, স্যারের সাথে দেখা হলে আচ্ছা মতো বকা দিবে। জানতে চাইবে স্বপ্নীল কেন এমনভাবে তাকে কিছু না জানিয়ে চলে দেশের বাহিরে চলে গিয়েছিল। কান্না চলে আসে নীলার।

চার.

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। নীলা সাদা কালারের মাইক্রোতে। সাথে বর বসা আছে। নীলা সারাদিনের ধকলে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। চোখে ঘুমের রেশ।

গাড়ি এগিয়ে চলছে। শীতের হিম বাতাস কিছুটা এসে লাগছে নীলার চোখে মুখে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে গাড়ি পৌঁছে যায় নীলার শ্বশুরালয়ে। এই এলাকায় আগে কখনো আসেনি সে। চারপাশে দোতলা টিনের ঘরবাড়ি। তবে কারুকার্য খচিত বাড়ি ঘরগুলো। একই সাথে গ্রাম এবং শহরের মিশেল যেন। অবশ্য বরের বাড়ি পাঁচতলা ফাউন্ডেশন করা বিল্ডিং। বিল্ডিং দেখে বুঝা যায় এই এলাকায় এরা আর্থিকভাবে অন্যদের চেয়ে অবস্থাপন্ন। এতোক্ষণ সেরোয়ানি পরে যে লোকটি তার পাশে বসা ছিল, লোকটি কই যেন হারিয়ে গেছে।

নীলা দেখছে না তাকে। নীলার শশুরালয়ের লোকজন নীলাকে যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে বরণ করে নেয়। ছোট ছোট অনেকগুলো বাচ্চা একটু আগে নীলাকে দেখে গেছে। বাচ্চারা অনেকগুলো চকোলেট দিয়ে গেছে নীলাকে। নীলারও ভীষণ পছন্দের এ চকোলেট। বিকেল ঘনিয়ে রাত হয়ে আসছে। ঘড়িতে নয়টা বেজে আটচল্লিশ মিনিট বাজে। কিন্তু কারও কোনো দেখা দেই। তার ঘর নানা রকম ফুল আর বেলুন দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। একা ঘরে বসে আছে সে। যাক ভালোই হলো, এভাবে যদি পুরো রাত পার করে দেওয়া যায়। ভাবতে থাকে নীলা।

বাসরঘরে মুখ ভার করে বসে আছে নীলা। চোখে মুখে রাজ্যের বিরক্তি। এ বিরক্তি যেন শেষ হওয়ার নয়। নীলা ভাবছে কি হল তার সাথে।

পাঁচ.

নীলার ভাবনায় হঠাৎ করে ছেদ পড়ে। কেন যেন দরজা খুলে তার দিকে এগিয়ে আসছে। নীলার ভয় হচ্ছে।

অপরিচিত এই মানুষটির সাথেই সারা জীবন কাটাতে হবে তাকে? ভালো লাগছে না তার। সে তো ভালোবাসে স্বপ্নীলকে। তার পুরো অন্তর জুড়ে রয়েছে সেই মানুষটি। ভালোবাসবে এক জনকে, আর সংসার করবে অন্য জনের সাথে। এ যেন কেমন। পরিবার বুঝতে চায়নি। এ এক নিদারুন কষ্ট। মন পড়ে থাকবে ঐ বন্দরে। আর দেহ কোনো খাঁচায় বন্দি। মন থাকবে শুন্যে, দেহ থাকবে অন্যের কব্জায়, অন্যের দখলে। এখনো সে দেখেনি বরকে। বাবা-মা কার সাথে বিয়ে দিল তাকে! পিছন থেকে কে যেন নীলা বলে ডাক দেয়। পরিচিত কণ্ঠ মনে হচ্ছে।

পিছনে ফিরতেই ভ্যাবাচেকা খায় নীল। কী দেখছে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনা। আরে এতো স্বপ্নীল স্যার! স্যার এখানে! কীভাবে সম্ভব। নিজে নিজে ভাবে সে আবার স্বপ্ন দেখছে নাতো! নিজের হাতে নিজে চিমটি কাটে নীলা। আরে নাতো, ঠিকই তো মনে হচ্ছে। এতো সত্যিই স্বপ্নীল। অবশ্য বিয়ের যাবতীয় কিছু স্বপ্নীল দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় তার পরিবারকে দিয়ে করিয়েছিল। দুই পরিবার এক হয়ে কথা এগিয়ে নেয়। স্বপ্নীল দেশে ফিরলেই বিয়ে হবে এমন সিদ্ধান্তে। এর মধ্যে অবশ্য স্বপ্নীল একটি ফেইক ফেসবুক একাউন্ট এর মাধমে নীলার যাবতীয় খোঁজ-খবর নিতো! সাথে নীলার ক্লাসমেট শান্তের সাথে স্বপ্নীল স্যারের প্রায়ই কথা হতো। শান্ত ছিল তাদের ক্লাস রিপ্রেজেন্টটেটিভ। সে মোটামুটি সবার খবরই জানতো। আর স্বপ্নীল স্যার নীলার বিষয়ে সব খোঁজ খবর পেয়ে যেত খুব সহজে। যদিও নীলা তার কিছুই জানতো না।

নীলা দেখতে পায় তার স্বপ্নীল স্যার হাসিমুখে গোলাপ হাতে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে একটি চিঠি। চিঠিটা নীলার পরিচিত মনে হয়। আরে! এই চিঠিতো নীলার দেওয়া। স্যারকে যেদিন প্রপোজ করেছিল নীলা, সেদিন এই চিঠি নীলা স্বপ্নীলকে স্যারকে দিয়েছিল।

আমায় তুমি ভালোবাসবে? আমি তোমাকে ভালোবাসি। এই বলে গোলাপের স্টিকটি নীলার দিকে এগিয়ে দেয় স্বপ্নীল।

নীলার দু চোখে জল। কান্নারা যেন বাসা বেঁধেছে নীলার চোখে। এ কান্না যে সুখের, আনন্দের। হাজার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার। কল্পনাকে বাস্তব ফ্রেমে বাঁধার। নীলা ঝাপটে ধরে স্বপ্নীলকে। আর অনবরত কেঁদে চলছে সে। স্বপ্নীল এক হাত রাখে নীলার পিঠে, অন্য হাত নীলার মাথায়। আর আলতো করে চুমু খায় নীলার কপালে। দুজনের চোখেই এবার জল। এ জল স্বপ্ন পূরণের। বিশ্বাসের, সম্মিলনের আর বিজয়ের...।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়