প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
সুমাইয়া আক্তার শারমিন বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয়ের হয়ে হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল এবং অ্যাথলেটিক্সে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তার লক্ষ্য, জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশকে সবার কাছে তুলে ধরা।
মোঃ সাহাদাত হোসেন ও রুবি বেগম দম্পতির কন্যা সুমাইয়া আক্তার শারমিন সম্প্রতি ‘শিক্ষাঙ্গনে’র মুখোমুখি হন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : আমার বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি। এখানে শুধু আমাদের পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষাই দেয়া হয় না, বরং খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্কসহ জীবন গড়ার প্রায় সব কিছুই শিখানো হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কোন্ কোন্ খেলাধুলায় আপনি অংশগ্রহণ করেন?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল এবং অ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াচর্চার জন্যে কে কে আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও আমার পরিবার আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কারা?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : বাস্কেটবলে ভারতের শিবা ম্যাগগন, হ্যান্ডবলে রোমানিয়ার ক্রিস্টিনা জর্জিয়ানা নেগু।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অভিভাবকরা আপনার ক্রীড়াচর্চাকে কীভাবে দেখেন?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : অভিভাবকরা আমার ক্রীড়াচর্চাকে সবসময়ই সাপোর্ট করেন এবং সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কী কী সহযোগিতা পান?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রীড়াচর্চার সকল উপকরণ এবং অনুশীলনের জন্যে প্রশিক্ষক পেয়ে থাকি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কী?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : আমার ভবিষ্যত লক্ষ্য আমি জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশকে সবার কাছে তুলে ধরতে চাই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আর কী কী সুবিধা পেলে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবেন?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : যদি আমাদের মেয়েদের জন্যে আলাদা গ্রাউন্ড করা হয় যেখানে আমরা নিজেদের মতো করে খেলতে পারবো, চর্চা করতে পারবো, তাহলে আমরা আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াক্ষেত্রে আপনার অর্জনগুলো বলুন?
সুমাইয়া আক্তার শারমিন : ২০১৯ সালের জতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভলিবলে জেলা পর্যায়ে রানারআপ, একই বছরে জতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবলে জেলায় রানারআপ, ২০২০ সালে ৪৯তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাস্কেটবল ও ভলিবলে কুমিল্লা উপ-অঞ্চলে রানারআপ এবং ২০২২ সালে ৫০তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাস্কেটবলে সিলেট বকুল অঞ্চলে রানারআপ। তাছাড়া দেশী বোলার্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে ঢাকার গাজীপুরের মাওনায় প্লেজ হারবর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গ্রাউন্ডে বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে রানারআপ ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন। জেলা নারী বাস্কেটবল দলের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ।