নুসরাত জাহান তিথী। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর স্বপ্ন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হওয়া। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?

তিথী : আলহামদুলিল্লাহ্! ভালো আছি।

শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?

তিথী : আমি মানবিক বিভাগে ১০ম শ্রেণিতে পড়ি।

শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।

তিথী : স্কুলের সব স্যারদেরই আমি ভীষণ পছন্দ করি। তবে বিশেষভাবে ‘অসীম গাইন’ স্যারের ব্যাপারে বলতে চাই। তিনি আমাদের বাংলা ২য় পত্র বিষয়ে পাঠদান করেন। তিনি বাংলা ব্যাকরণে অত্যন্ত দক্ষ। ব্যাকরণের সব জটিল বিষয়কে তিনি আমাদের সামনে অত্যন্ত সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপন করেন। স্যারের ভাষাজ্ঞান ও উদার নৈতিক মানসিকতা আমাদের সবসময় আকৃষ্ট করে।

শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।

তিথী : ক্লাসের সব সহপাঠীই আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে জেনিফার সাথে আমার সখ্যতা সবচেয়ে বেশি। ৭ম শ্রেণি থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। আমার যে কোনো সংকট কিংবা মন খারাপের সময়ে ওর সহায়তা আমাকে ভীষণভাবে উপকৃত করে। ওর সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব ও বুদ্ধি বৃত্তিক কাজ আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে।

শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?

তিথী : হ্যাঁ, আমার খেলাধুলা করতে ভালো লাগে। ব্যাডমিন্টন ও ক্যারাম আমার প্রিয় খেলা।

শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?

তিথী : গান শুনে, ছবি এঁকে ও আম্মুর কাজে সাহায্য করে অবসর সময় কাটাই।

শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?

তিথী : আমি পড়াশুনা শেষে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হতে চাই। আমি মনে করি বিশ্বায়নের এ যুগে দেশাত্মবোধ থেকেই প্রত্যেকের ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। কারণ দেশ ও দেশের মাটিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হলে ভাষাও একটি অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। সুতরাং আমি ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হয়ে এই কাজকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করতে চাই।

শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?

তিথী : গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও নাটকসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার প্রতিই আমার প্রবল অনুরাগ রয়েছে। তবে বিশেষ করে আমার কবিতা আবৃত্তি করতে বেশি ভালো লাগে।

শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?

তিথী : সত্যি বলতে আমি একজন ভ্রমণপিপাসু মেয়ে। স্কুল ছুটির দিনে সাধারণত আমি মামার বাড়িতে বেড়াতে যাই।

উল্লেখ্য, মোঃ ইকবাল হোসেন ও শাহীনা আক্তার দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান নুসরাত জাহান তিথী। তিথীর বাবা ইকবাল হোসেন একজন ব্যবসায়ী। তাঁরা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর বাড়ৈগাঁও গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।