প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭
খণ্ডে খণ্ডে অখণ্ড জীবন

(একচল্লিশতম পর্ব)
জ্যোতিষবিদ্যায় আমার আগ্রহ
মানুষের মন বড়ো বিচিত্র। যাপিত জীবনের টানাপোড়েনে সে তার ললাট লিখনকে খতিয়ে দেখতে চায়, আগাম জেনে নিতে চায়। জীবনকে দুঃখ-বেদনায় ডুবে যেতে দেখে সে আশার ভেলা ধরে ভেসে উঠতে চায়। তার এই দুর্বল মানসিক অবস্থা তাকে নিজ কপালের ভবিষ্যৎকে আগাম জেনে নেওয়ার দিকে ধাবিত করে। এটা অনেকটা পথ খুঁজে পাওয়ার মতো। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত পথিক যখন খেই হারায়, তখন সে আগাম পথের বাঁক ও গন্তব্য জেনে নিতে চেষ্টা করে, যাতে অতি কম শ্রমে নির্ভুল গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। আগাম ভাগ্যলিপি বা জীবনের গতিপথ জেনে নেওয়ার প্রবল আগ্রহ থেকে তৈরি হয়েছে জ্যোতিষ চর্চার ইতিহাস। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষ বর্তমানকে নিয়ে হাবুডুবু খেতে খেতে খড়কুটো ধরে বেঁচে ওঠার তাগিদেই তৈরি হয়েছে জ্যোতিষবিদ্যা। শৈশব হতেই চারপাশের মানুষকে দেখেছি হস্তরেখা গণনা করিয়ে নিজেকে মানসিক শান্তি পেতে। হতাশাগ্রস্ত মানুষের শান্তি পাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা হতে জন্ম নিয়েছে লোক ঠকানোর একটা ব্যবসা, যাতে দামি পাথরের নাম নিয়ে বিক্রি হয় নকল পাথর। কপাল ফেরানোর নামে করা হয় সর্বস্বান্ত। তবুও মানুষ বিশ্বাস করে এসব গ্রহ-নক্ষত্রের ফের বিষয়ক অকুশলী মানুষের প্রতারণাকে।
জ্যোতিষ চর্চা নিয়ে একটা রম্য গল্প আছে বলার মতো। এক লোক তার মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আগে কোষ্ঠী গণনা করতে গেলো আচার্য মশায়ের কাছে। কিন্তু আচার্যের ঘরে গিয়ে দেখলো, তার নিজের মেয়েই বিধবা হয়ে পিতৃনিবাসে ফিরে এসেছে বছর দুয়েক হলো। এ দেখে কোষ্ঠী গণনা করাতে যাওয়া বাবা ফিরে এলেন গজরাতে গজরাতে, যে নিজের মেয়ের কোষ্ঠীই ঠিকমত গণনা করতে পারেননি তিনি অন্যের মেয়ের কোষ্ঠী দেখে আর কী গণনা করবেন?
তবে আমার এখনও অবাক লাগে ছোটবেলায় একটা চর্চা দেখে। তার কোনো ব্যাখ্যা কিংবা রহস্যের সুরাহা আমি আজও করতে পারিনি। এ চর্চাটা গ্রামীণ পরিবেশে আমি দেখেছি, আমার ‘দুধে দাঁত’ শৈশবে। মনোবাঞ্ছা ধারণকারী মনে মনে তার আশা পোষণ করে একটা পুতার ওপর দুপা ভাঁজ করে স্কোয়াট ভঙ্গিতে বসে। তারপর কিছু মন্ত্র পাঠ হয় এবং সামনে পূজার ঘট থাকে। তাকে প্রণাম করতে হতো। এসব হয়ে গেলে কিছুকাল পরে পুতাটি বসে থাকা ঐ ব্যক্তিসহ আপনাআপনি ঘুরে যেতো, যদি মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়ার পক্ষে যায়। আর যদি মনোবাঞ্ছা পূরণ না হওয়ার বিষয় থাকতো, তবে পুতাটি ব্যক্তিসহ ঘুরতো না। সেই চর্চাটি এখন আর কোথাও দেখা যায় না। আমার মনে আছে, দুপার ওপর ভর দিয়ে হাঁটু মুড়ে পুতায় বসা আমাকে মিনিট দুয়েকের মধ্যে ঘুরিয়ে দিয়েছে মনোবাঞ্ছা পূরণের সত্যাসত্য নিরূপণকারী শক্তিটি। আমি এ ব্যাখ্যা আজও পাইনি। কীভাবে পুতাটি ব্যক্তিসহ ঘুরে যায় তা এক বিস্ময়। এরপরে বড় হতে হতে হাত গণনাকারীদের দেখা পাই। তবে এই হাত গণকদের অনেককেই অসৎ উদ্দেশ্যে বা দুষ্টুমির ছলে হাত গণতে দেখা গেছে। কেউ দুটো পয়সা রোজগারের আশায় আর কেউ নারীর মন জয়ের আশায় বা তাকে নিজের প্রতি আগ্রহী করে তোলার কুপ্রয়াসে। নিজের আত্মীয়দের অনেকেই হাত গণতেন। তবে তারা কৌতূহলী চর্চা থেকেই গণতেন। তাদের মধ্যে প্রতারণা বা মনোযোগ আকর্ষণের কোনো বিষয় ছিলো না। বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এক কাকা, সম্পর্কে আমার বাবার আপন মাসতুতো ভাই, তাঁকে দেখেছি শখের বশে হাত গণতে। যাদের হাত গণনা করে তিনি বলতেন, দেখা গেছে তারাও স্বীকার করেছে কিছু বিষয় সত্য বলে। আর কিছু বিষয় ছিলো ভবিষ্যতের যা কালাগত না হলে বোঝার উপায় ছিলো না। আমাদের এক জ্যাঠতুতো দাদা ছিলেন, আমরা ডাকতাম দুলুদা বলে। তার ভালো নাম ছিলো দুলাল। তিনি দিল্লী ছিলেন জীবনের অনেকটা সময়। তার পড়াশুনা অতবেশি ছিলো না। তবে দিল্লি থাকার কারণে কোনো না কোনোভাবে তিনি হস্তরেখা যাচাই বিদ্যাটি রপ্ত করে ফেলেন। লেখাপড়া দিয়ে না হলেও হাতেকলমে। মানুষের ভবিষ্যৎ যাচাই করে তার বলা কথাগুলো প্রায় ষাটভাগ ফলে যেতো। এখানে যে কোনো প্রতারণা ছিলো না সে বিষয়ে আমি পরিষ্কার। প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন আমাদের স্কুলের মাধ্যমিক শাখার এক স্যার আমাদের পাড়ায় থাকতেন। মেঘনাদ চৌধুরী স্যার। আমার হাত দেখে তিনি একদিন বলেছিলেন, আমার রবিরেখায় কাটাকাটি বেশি। অর্থাৎ আমার সাফল্য সহজে আসবে না। তাঁর এ কথাটি মনে হয় ফলে গেছে বরাবর। কোনো কাজের আগে আমার বাধা আসে বার বার। আমার বাম হাতের তালুতে একটা তিলের উপস্থিতি দেখে তিনি একথাও বলেছিলেন সেই কৈশোরে, আমার প্রণয় ও পরিণয়ে নাকি ঝামেলা আছে। আমার মেসো একজন আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার মায়ের কাকাতো বোন, আমাদের দুলুমাসীর বর। তিনিও মাঝেমধ্যে হাত গণতেন। তিনি বাসায় আসলে আমার দিদিরা বায়না ধরতেন হাতের রেখা বিচার করে দেওয়ার জন্যে। ফাঁকে একদিন তিনিও আমার হাতের রেখা দেখে বলেছিলেন, ভাগিনা, তুমি বটগাছ হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু নিয়তি তোমাকে বনসাই বানিয়ে রাখবে। তার সে কথা আমার বেশ মনে ধরেছে। মনে হয় এটাই আমার জীবনের সারমর্ম। আমার সেই মেসোর ডাক নাম মাখন। তিনি তার নামের একটা ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলতেন, এ মাখন মানে বাটার বা ননী নয়। তিনি জন্মকালীন তার মা মারা যান। তার পাড়াপড়শীরা তাকে বলতো, তিনি তার মাকে জন্ম থেকেই খেয়ে ফেলেছেন। তাই তার নাম হয় মাখন। অর্থাৎ ‘মা খঅনি’ থেকে মাখন। খঅনি মানে যে খায়। চট্টগ্রামের ভাষায় জীবন হতে কেউ বিয়োগ হলে তাকে খেয়ে ফেলা হিসেবে দেখা হয়। হস্তরেখার পাশাপাশি আগে আমাদের কোষ্ঠীও গণনা করা হতো। আমাদের সবার একটা করে কোষ্ঠী নাম ছিলো। যেমন : আমার কোষ্ঠী নাম পরিতোষ। বাস্তবিক আমি অল্পতেই তুষ্ট থাকি। আমার বড়োদার কোষ্ঠী নাম ললিতমোহন।
এসএসসি পরীক্ষা শেষে রেজাল্টের জন্যে আমরা অপেক্ষা করছি। এর মধ্যে আমার এক বন্ধু শান্তনু মাধবাচার্য নামে এক হস্তরেখাবিদের কাছে যায়। সে গিয়ে দেখে, উনি শুরুতেই কিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, যার উত্তর তিনি আগে থেকে লিখে ঢেকে রাখতেন। উত্তর মিলে গেলে তিনি তা দেখিয়ে ক্লায়েন্টকে মুগ্ধ করতেন। এভাবে চমক দিয়ে তিনি শুরু করতেন হস্তরেখার পাঠ। প্রশ্নের ধরণ ছিলো এমন, এক হতে নয় পর্যন্ত সংখ্যার মধ্যে আপনার প্রিয় সংখ্যা কোনটি? আপনার প্রিয় ফুল কী? আপনার প্রিয় ফল কী? এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরের সাথে মিলে যেতো। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের প্রবণতা হলো, প্রিয় সংখ্যা সাত, প্রিয় ফুল গোলাপ এবং প্রিয় ফল আপেল বা আম বলা। ফলে সত্তরভাগ ক্লায়েন্টের উত্তর মাধবাচার্যের লিখে রাখা উত্তরের মতো হুবহু হয়ে যেতো। শান্তনু এসে সে কথা বলাতে সৌরিন গিয়ে প্রিয় সংখ্যা তিন, প্রিয় ফুল বেলী, প্রিয় ফল আমলকী বলে এসেছিলো। এতে মাধবাচার্য থতমত খেয়ে যান। আমিও কয়দিন পরে গিয়ে বলে এসেছিলাম, প্রিয় সংখ্যা নয়, প্রিয় ফুল কদম এবং প্রিয় ফল জলপাই। এতে তার মুখচ্ছবি বেশ হয়েছিলো দেখতে।
সময় এগুতে থাকে। আমিও সেই অগ্রগতির এক বিন্দু। দুষ্টুমির লেজ ছোট হতে থাকে, তবে লুপ্ত হয় না। বড়ো হতে হতে হস্তরেখাবিদ্যাকে কাগজে কলমে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। কারণ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখতাম, জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদ কে. রহমান হাওলাদার হোটেল সফিনায় সপ্তাহে দুদিন আসেন, বাকি ক’দিন ঢাকা থাকেন। এ বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে মনে হতো, নিশ্চয়ই তার অনেক ক্লায়েন্ট এবং তারা বড়োলোক। তাহলে এ বিদ্যায় কী আছে তা দেখা দরকার। কিন্তু সময়ে কুলিয়ে ওঠা হয় না। নিয়তি আমাকে সে সুযোগ করে দিলো। থার্ড ইয়ার এমবিবিএসে পড়াকালীন আমার জন্ডিস হলো। টানা দুসপ্তাহ আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এ সময়ে নিউমার্কেট বুকম্যান থেকে কিনে নিয়ে আসি কিরোর বিখ্যাত বইয়ের বাংলা অনুবাদ ‘সহজ হস্তরেখা বিচার ‘ এবং অশোক ভট্টাচার্যের ‘ হস্তরেখা অভিধান’ বই দুটি। দুসপ্তায় বই দুটি পড়ে শেষ করলাম। তার শতভাগ স্মৃতিতে ধরে রাখা গেলো না। প্রায় তিরিশ শতাংশ ধরা গেলো। তা দিয়ে পরীক্ষামূলক কয়েকজনের হস্তরেখা দেখে বিচার করে বয়ান দিলাম। মোটামুটি ষাটভাগ তারা মেনে নিলো সত্য বলে। ঘটনা হলো এই, এখানে মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব যেমন আরোপিত হয়েছে তেমনি চিকিৎসা বিজ্ঞানেরও কিছু বিষয় আমার নজরে এসেছে। যেমন হস্তরেখা বিচার করতে গিয়ে হাতের তালুর বর্ণ, নখের বর্ণ এসেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে, হাতের তালুর বর্ণ গোলাপী বা নীলচে গোলাপী হলে তার পেরিফেরাল সায়ানোসিস আছে। এর অর্থ হলো তিনি হার্ট ফেইলিওরে ভুগছেন। ঠিক এ ধরনের কথাও হস্তরেখা বিচারে বলা হয়। কিরোর বইটিকে হস্তরেখাবিদ্যার মূল পাঠ্য ধরা হয়। তার পুরো নাম লুই-কাউন্ট হ্যামন। এ বিদ্যানুসারে হাতের গঠনাদি বিচারকে বলে চিরোগনমি বা কিরোগনমি। আর হাতের রেখার বিচারকে বলে কিরোম্যানসি। কথিত আছে, কিরো সম্রাট আলেকজান্ডারের হাত গণনা করে তার একটা বিষয়ে অসফলতার কথা বলেছিলেন। আলেকজান্ডার সেই অসফলতাকে পরিবর্তন করতে নিজের হাতের রেখা কেটে বদলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দিনশেষে কিরোর কথাই ফললো। অর্থাৎ হাতের রেখায় যে ললাট বিধৃত আছে, হাতকে হাজার কাটাঘষা করলেও তার কোনো পরিবর্তন হয় না।
বিশ্বাস বা অবিশ্বাস নয়, মূলত জানার আগ্রহে আমি হস্তরেখাবিদ্যার প্রতি কিছুটা আগ্রহ পোষণ করি। মানুষ যদি তার আপন বিদ্যাবলে তাকে নিয়ে বিধাতার পরিকল্পনা আগাম জানতে পারে, তবে তাতে অনেক হাঙ্গামার সুরাহা হয়। সহস্র এক আরব্য রজনীর কাহিনী বা সিন্দাবাদের কাহিনী হতে জেনেছিলাম, রাজ জ্যোতিষী হস্তরেখা বিচার করে বলেছিলেন, রাজকন্যাকে অপহরণ করবে কেউ। রাজা সেই দুর্ঘটনা থেকে রাজকন্যাকে বাঁচাতে আলাদা প্রাসাদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মেয়েকে বন্দি করে রাখলেন। কিন্তু দিনশেষে দেখা গেলো, সিন্দাবাদ ঠিকই জাদুর কার্পেটে চড়ে আকাশপথে প্রাসাদে নেমে রাজকন্যাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। রাজা বা তার প্রহরীরা টেরও পায়নি। অর্থাৎ যা ভবিতব্য তা হবেই। তাকে শত চেষ্টাতেও রোধ করা সম্ভব নয়। বহু সিদ্ধি-সাধনা করে শাক্যবংশীয় রাজা শুদ্ধোদনের ঘরে রানি মহামায়ার গর্ভে জন্ম নিলেন কুমার সিদ্ধার্থ। রাজা রাজজ্যোতিষী কালদেবলকে ডেকে এনে কোষ্ঠী বিচার করিয়ে জানলেন, কুমার সিদ্ধার্থ সংসারে থাকলে কালচক্রবর্তী রাজা হবেন। আর যদি সংসার ত্যাগ করেন তবে তিনি বুদ্ধ হবেন। কালচক্রবর্তী রাজা মানে হলো রাজাদের রাজা। তিনি সাম্রাজ্য বাড়াবেন এবং পার্শ্ববর্তী সকল রাজাকে তার অনুগত করে রাখবেন। রাজা শুদ্ধোদন পুত্রকে সংসারে ধরে রাখতে শতচেষ্টা করলেন। গ্রীষ্ম যাপনের জন্যে গ্রীষ্ম প্রাসাদ, বর্ষা যাপনের জন্যে বর্ষা প্রাসাদ, শীত যাপনের জন্যে শীত প্রাসাদ এবং বসন্ত যাপনের জন্যে বাসন্তী প্রাসাদ বানিয়ে দিলেন। মনোরঞ্জনের মাধ্যমে মনকে ভোগবিলাসে আটকে রাখতে নিযুক্ত করলেন অসংখ্য নর্তকী ও গায়িকা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ঊনত্রিশ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ ঠিকই সংসার ত্যাগ করে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে বুদ্ধ হলেন। এসকল ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে বলতে হয়, জ্যোতিষবিদ্যা সবটাই মিছে নয়। অন্তত আগেকার দিনের গণকেরা মিথ্যে ছিলেন না। হয়তো আজকাল অর্থগৃধ্নু প্রবঞ্চক-প্রতারক বেড়ে যাওয়ায় হস্তরেখাবিদ্যাটা লোকঠকানো বিদ্যায় পরিণত হয়েছে। যেমনটা দেখা যেত, ফুটপাতে আগে টিয়ে বা বানরকে দিয়ে খামে ভরা ভাগ্য গণনার মতো।
(চলবে)