প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ১৯:৩৩
ফরিদগঞ্জে সমলয় চাষাবাদ প্লটে স্থাপিত পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়ে মাঠ দিবস
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রবি মৌসুমে প্রণোদনার বোরো সমলয় চাষাবাদ প্লটে স্থাপিত পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি (অডউ) ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়ে মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বোরো মৌসুমে ধান আবাদে পানি সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতির নাম অলটারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রায়িং বা পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সেচ দিলে ধানক্ষেতে ২৮% পানি সাশ্রয় করা সম্ভব। ধানক্ষেতে একটি ছিদ্রযুক্ত প্লাস্টিক বা বাঁশের পাইপ বসিয়ে মাটির ভিতরের পানির স্তর পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনমতো সেচ প্রদান করাই হলো পর্যায়ক্রমিক ভেজানো ও শুকানো পদ্ধতি।
রোববার ১২ মে বিকেলে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কল্লোল কিশোর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সাইফুল হাসান আলামিন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোঃ মাসুদ হোসেন, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন হোসেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ পদ্ধতিতে সেচ প্রদান করলে ফলন বেশি পাওয়া যায়, উপরন্ত পানি ও জ্বালানি (ডিজেল, বিদ্যুৎ) সাশ্রয় হয়, এ পদ্ধতিতে বোরো ধানে ৪-৫ টি সেচ কম লাগে, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়, ফলে উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, আমরা পাশাপাশি ২ একর প্লটে এডব্লিউডি এবং ২ একর প্লটে নন-এডব্লিউডি প্রদর্শনী স্থাপন করেছিলাম। আজকে ধান কর্তন করে নন-এডব্লিউডি প্লটের তুলনায় এডব্লিউডি প্লটে বিঘা প্রতি ২.৩০ মণ ফলন বেশি পাওয়া গেছে। এছাড়া পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪০ শতাংশ পানি সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এ প্রযুক্তিটি কৃষকের মাঠে দ্রুত সম্প্রসারণ হবে এবং কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদে সেচের পানি সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমে যাবে ।