দিনাজপুরের লিচু চাঁদপুরের বাজারে স্বাদে ও চাহিদায় শীর্ষে

স্বাদে, ঘ্রাণে ও রসে অতুলনীয় দিনাজপুরের বিখ্যাত লিচু এখন চাঁদপুরের বাজারে। চলতি বছর ২০২৫ সালের ২০ মে থেকে চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার, পালবাজার, বাবুরহাট ও বিপণীবাগের দোকানগুলোতে সরবরাহ শুরু হয় এই লিচুর। আগমনের প্রথম সপ্তাহেই চাহিদা ও বিক্রিতে দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো।

উৎপাদন ও সরবরাহ পরিসংখ্যান

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দিনাজপুর জেলায় প্রায় ৩,২০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এতে ফলন হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮% বেশি।

চাঁদপুরে এই লিচু সরবরাহ করছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ‘মেসার্স আমিন ট্রেডিং কোম্পানি’।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন জানান, “আমরা প্রথম চালানে প্রায় ১৫০০ কেজি বোম্বাই ও চাইনিজ জাতের লিচু চাঁদপুরে পাঠিয়েছি। চাহিদা দেখে আরও চালান পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”

বাজারদর ও জাতভেদে তথ্য

বর্তমানে চাঁদপুরে দিনাজপুরের লিচুর দাম নিচের মতো : লিচুর জাত অনুযায়ী দাম (প্রতি কেজি) : বোম্বাই ৩৫০-৪০০ টাকা, চাইনিজ ৪৫০-৫০০ টাকা, মাদ্রাজি ৫৫০ টাকা (সীমিত পরিমাণে)

প্রথম দিকে দাম কিছুটা বেশি থাকলেও সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্থিতিশীল হবে বলে জানান বিক্রেতারা।

বাজারের অভিমত

চাঁদপুর পালবাজারের বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “দিনাজপুরের লিচু আমাদের শহরে একটা ব্র্যান্ডের মতো। দাম একটু বেশি হলেও খাঁটি ও টাটকা লিচু বিক্রি হওয়ায় লাভ ভালো হচ্ছে। ২০ মে প্রথম চালান আসার পর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে।”

নতুনবাজারের এক ভোক্তা, স্কুলশিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, “প্রতি বছর দিনাজপুরের লিচুর জন্যে অপেক্ষা করি। এ বছরের লিচু বিশেষ মিষ্টি ও রসালো। ছেলেমেয়েরা খেয়ে খুবই খুশি।”

কৃষি বিভাগের মূল্যায়ন

চাঁদপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “চাঁদপুরে দিনাজপুরের লিচুর বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে-- এটা ইতিবাচক। এতে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, ভোক্তারাও লাভবান হচ্ছেন। ফল সংরক্ষণ ও পরিবহনে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।