প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:২৭
একটি চিংড়ির দাম ১০ হাজার টাকা!
ভেনামি চিংড়িতে দেশে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

হাতে ধরলেই পুরো তালু জুড়ে। লম্বায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। অথচ একেকটির দাম ১০ হাজার টাকা! এ কোনো সাধারণ চিংড়ি নয়—এটি ‘ভেনামি’ প্রজাতির মা চিংড়ি। এর সম্ভাবনাই বলছে, বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে এই জাত।
একটি মা ভেনামি চিংড়ি থেকে বছরে উৎপাদিত হতে পারে প্রায় ১০ লাখ পোস্ট লার্ভা (রেণু)। বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করে কক্সবাজারের দুটি সরকার অনুমোদিত হ্যাচারিতে বাণিজ্যিকভাবে এই মা চিংড়ি লালন ও পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশের খামারিদের কাছে।
বিশ্ববাজারে যে চিংড়ির রাজত্ব, সেই ভেনামি এতোদিন বাংলাদেশে তেমন একটা চাষ হতো না। দেশের প্রচলিত বাগদা ও গলদা চিংড়ির রোগ সংক্রমণ, উৎপাদন সময় ও খরচ তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে, ভেনামি চাষে ঝুঁকি কম, উৎপাদন বেশি, আর সময়ও লাগে কম—মাত্র দুই মাসেই বাজারজাত উপযোগী।
সাতক্ষীরার এক খামারি জানান, “ভেনামি চাষে রোগের ভয় নেই বললেই চলে। বাগদা চিংড়ির তুলনায় এটি অনেক লাভজনক।” কক্সবাজার থেকে নিয়মিত পোনা সরবরাহ পাওয়ায় খামারিরা আরও উৎসাহী হচ্ছেন এই চাষে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহায়তা পেলে ভেনামি চিংড়ি বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
চিংড়ি পালনে এক নতুন আশার নাম—ভেনামি। যেখানে একটি চিংড়িই হতে পারে লাখ টাকার সম্ভাবনার বীজ ! এটি এখন বাংলাদেশের কক্সবাজারে চাষ করা হয়।