প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৪
শিক্ষক সাক্ষাৎকার : পলাশ চন্দ্র পাল
প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাই বদলে দিচ্ছে শেখার ধারা

পলাশ চন্দ্র পাল বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বিশ্বাস করেন, আজকের শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ডিজিটাল জ্ঞানের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন, চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। পলাশ চন্দ্র পালের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হাইমচরে সেখান থেকেই শুরু তাঁর শিক্ষা ও শিক্ষকতা পেশায় যাত্রা।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
পলাশ চন্দ্র পাল : ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কীভাবে এলেন?
পলাশ চন্দ্র পাল : শিক্ষকতা সমাজের অন্যতম মহান পেশা। তাই ছোটবেলা থেকেই এই পেশার প্রতি আকর্ষণ ছিল। সেই আগ্রহ থেকেই শিক্ষকতা পেশায় আসি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথম দিনটি কেমন কেটেছিল?
পলাশ চন্দ্র পাল : খুবই চমৎকার ছিল দিনটি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রথম পরিচয়, ক্লাস নেওয়ার উত্তেজনা সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা ছিলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
পলাশ চন্দ্র পাল : জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময় ছিল ছাত্রজীবন। শৈশব কেটেছে হাইমচরের গ্রামীণ পরিবেশে। এসএসসি সম্পন্ন করি কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসির জন্য ভর্তি হই চাঁদপুর সরকারি কলেজে। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় যাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি সম্পন্ন করি। পড়াশোনা শেষ করে কয়েক বছর প্রথম আলো-তে কাজ করেছি। সেখান থেকেই পরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন?
পলাশ চন্দ্র পাল : আমাদের সময়ে শিক্ষা ছিল মূলত পুঁথিগত জ্ঞানে সীমাবদ্ধ। এখনকার শিক্ষা অনেক বাস্তবভিত্তিক। প্রযুক্তি ও ডিজিটাল জ্ঞানের ব্যবহার এখন শিক্ষার কেন্দ্রে। এটি শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
পলাশ চন্দ্র পাল : খেলাধুলা শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। এটি একাগ্রতা বাড়ায়, দলগত চেতনা গড়ে তোলে, আর পড়াশোনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। তাই খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ বিদ্যানিকেতনটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
পলাশ চন্দ্র পাল : বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় একটি সবুজ-শ্যামল, শিক্ষার্থী-বান্ধব প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও সক্ষমতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক আন্তরিকভাবে কাজ করেন যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় ছাত্র কারা? কেন প্রিয়?
পলাশ চন্দ্র পাল : স্নেহা জাহান লিয়া, মাহবুবা আক্তার মিথিলা এবং তানহা আফরিনÑএদের মধ্যে দারুণ সৃজনশীলতা লক্ষ্য করেছি। তারা শুধু পড়াশোনায় নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা জীবনের একটি আনন্দের ঘটনা বলুন।
পলাশ চন্দ্র পাল : আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত তখনই, যখন কোনো বিষয় বুঝিয়ে বলার পর শিক্ষার্থী বলে ‘স্যার, আমি বিষয়টা এখন পুরোপুরি বুঝেছি।’ সেই হাসিটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।