প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৪০
চাঁদপুর রোটার্যাক্ট ক্লাবের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সাক্ষাৎকার-৬
চাঁদপুর রোটার্যাক্ট ক্লাবের সদস্য হওয়া সোনার হরিণের মতো ছিলো
------------আমিন আহমেদ

|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুর রোটার্যাক্ট ক্লাবের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আপনাকে স্বাগত জানাই। কেমন লাগছে?
আমিন আহমেদ : পঞ্চাশ বছরপূর্তিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া আমার কাছে গর্ব ও আনন্দের। ২৫ বছর পূর্তিতে ছিলাম, আর এখন ৫০ বছর—এটা সত্যিই বিশেষ অনুভূতি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কীভাবে ক্লাবে যুক্ত হলেন?
আমিন আহমেদ : ১৯৮৮ সালে আব্দুর রহমান নাসিম সাহেবের আমন্ত্রণে আমরা ছয় বন্ধু জাফলং যাই এবং রোটার্যাক্টের সাথে যুক্ত হই। বন্ধুদের নাম—আনোয়ার হাবিব কাজল, মাইনু, সমির পাল, মাহমুদুর রহমান, রেজাউর রব রাজু ও আমি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রোটার্যাক্ট ক্লাব আপনার জীবনে কী পরিবর্তন এনেছে?
আমিন আহমেদ : ক্লাবটি আমাকে দিয়েছে নেতৃত্ব, বক্তৃতা, সাহস, উত্তম আচরণ—যা আমার জীবনের মূল্যবান সম্পদ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্লাব নিয়ে কোন বিষয়টি সবচেয়ে গর্বের?
আমিন আহমেদ : এটি বাংলাদেশের ২য় চার্টারপ্রাপ্ত রোটার্যাক্ট ক্লাব। দ্বিতীয় হলেও কাজের ক্ষেত্রে ছিলো নাম্বার ওয়ান। আর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনের গৌরব অর্জন করেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : গত ৫০ বছরে কোন মানবিক প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য?
আমিন আহমেদ : অসংখ্য প্রকল্প আছে। ১৯৯৪ সালের বালারচর প্রাকৃতিক দুর্যোগে রোটার্যাক্টের ত্রাণ তৎপরতা ছিলো অবর্ণনীয়। এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে দাতব্য চিকিৎসালয় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় যুবকদের সমাজসেবায় যুক্ত করতে ক্লাব কী করছে?
আমিন আহমেদ : আমাদের স্লোগান—“বন্ধুত্বের মাধ্যমে সেবা”। এটি যুবদের সমাজসেবায় অনুপ্রাণিত করে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আগামী ৫ বা ১০ বছরে ক্লাবকে কোথায় দেখতে চান?
আমিন আহমেদ : ভবিষ্যতে নতুন নতুন কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাবটি আরও দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার শক্তি অর্জন করবে—এটাই আমার স্বপ্ন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনতে কী করা উচিত?
আমিন আহমেদ : তাদের মধ্যে রোটার্যাক্ট সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়—এটি ব্যক্তিত্ব গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের প্ল্যাটফর্ম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কিশোর-তরুণদের জন্য বার্তা?
আমিন আহমেদ : অহেতুক আড্ডার সময় নষ্ট না করে রোটার্যাক্টে যুক্ত হও। এতে খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়, নতুন বন্ধু পাওয়া যায়, ভবিষ্যৎ সুন্দর হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : তরুণদের রোটার্যাক্টে যুক্ত হতে কীভাবে উৎসাহ দেবেন?
আমিন আহমেদ : রোটার্যাক্ট আমাকে ২৮টি জেলা ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে। মানুষের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়—তা শিখিয়েছে। এই অভিজ্ঞতার মজাই তরুণদের আকৃষ্ট করবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আর কিছু বলতে চান?
আমিন আহমেদ : চাঁদপুর রোটার্যাক্ট এমন এক ক্লাব, যার সদস্য হওয়া ছিলো সোনার হরিণের মতো। আমি চাই, ক্লাবটি নিয়ম-নীতি ও যোগ্য নেতৃত্বে আরও এগিয়ে যাক।
ডিসিকে/এমজেডএইচ








