প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১১
শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার : তানহা আফরীন
পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতা ও গল্প লেখার চেষ্টা করি

তানহা আফরীন বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শুধু মেধাবী ছাত্রীই নয়, সাহিত্যপ্রেমীও বটে। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা, আর নিজের মতো করে কবিতা ও গল্প লেখার চর্চা করে সে। ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায় তানহা।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ: কেমন আছেন?
তানহা আফরীন : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্কুলের প্রথম দিন আপনার কেমন কেটেছে?
তানহা আফরীন : অনেক ভালো কেটেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেন প্রিয়?
তানহা আফরীন : মান্নান স্যার ও পলাশ স্যার আমার প্রিয় শিক্ষক। আসলে সব শিক্ষকই প্রিয়, তবে তাদের পাঠদান ও অনুপ্রেরণামূলক কথা আমাদের বাস্তবজীবনকে সহজ করে। আমরা চেষ্টা করি সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে আপনি অংশগ্রহণ করেন কি?
তানহা আফরীন : হ্যাঁ, করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।
তানহা আফরীন : আমাদের বিদ্যালয়টি আমার কাছে অনেক প্রিয়। এটি নানা দুর্যোগ পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। পাঠদান পদ্ধতি, অবকাঠামো, শৃঙ্খলাÑসবকিছুই প্রশংসনীয়। শিক্ষকরা আমাদের খুব ভালোবাসেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি যদি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতেন, তাহলে বিশেষ যে কাজগুলো করতেন?
তানহা আফরীন : গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করতাম, সহপাঠক্রমিক শিক্ষায় উৎসাহ দিতাম, আর বিদ্যালয়ের পরিবেশ আরও সুন্দর রাখার চেষ্টা করতাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সহপাঠীদের সম্পর্কে কিছু বলুন।
তানহা আফরীন : আমার সহপাঠীরা সবাই খুব মিশুক, ভদ্র, নম্র এবং সাহায্যপ্রবণ। কেউ কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়লে সবাই মিলে সাহায্য করার চেষ্টা করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্কুল জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা বলুন।
তানহা আফরীন : ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে আমরা বিজ্ঞান বিষয়ে একটি পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে রান্নার মাধ্যমে পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন সম্পর্কে শিখেছিলাম। পিকনিক শেষে শিক্ষকদের সঙ্গে প্রাকৃতিক নানা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছিলামÑসেটা আমার জীবনের স্মরণীয় একটি ঘটনা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : পড়াশোনা শেষ করে কী হতে চান?
তানহা আফরীন : আমি একজন চিকিৎসক হতে চাই। সব শ্রেণির মানুষের সেবা করতে চাই, বিশেষ করে গরিব-দুঃখিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে চাই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময়ে কী করেন?
তানহা আফরীন : অবসর সময় গল্পের বই পড়ি, ছবি আঁকি, নিজের পছন্দমতো রং করি, আর কবিতা ও গল্প লেখার চেষ্টা করি।