শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১৪

হাইমচরের মাদ্রাসার সুপারের অনিয়মে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন ও শিক্ষার মান

হাইমচর প্রতিনিধি
হাইমচরের মাদ্রাসার সুপারের অনিয়মে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন ও শিক্ষার মান

চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়ন আজিজিয়া আজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওঃ মোঃ ফারুকুল ইসলামের অনিয়ম ও অদক্ষতার কারনে ব্যহত হচ্ছে মাদ্রাসার উন্নয়ন, শিক্ষা মান, শিক্ষকের টাইমস স্কেল, মাদ্রাসার ২ বছর ধরে স্বীকৃতি বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মোঃ ফারুকুল ইসলামের বিরূদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ২০২০ সালে ১৪ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ দ্বায়ের করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) রিগান চাকমা কে। কিচ্ছু কিছু অভিযোগের তথ্য প্রমান না মিলেও শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ, অশালীন ভাষা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিসয় জিজ্ঞেসা বাদে সত্যতা মিল পাওয়া যায়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিধি মেনে পাঠদান শুরু করেন। কিন্তু অত্র মাদ্রাসা স্বাস্থ্য সুরক্ষা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের কোন ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানা যায়, মাদ্রাসায় কোন স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা নেই। মাদ্রাসার শিক্ষকদের অভিযোগ হল সুপারের স্বেচ্চারিতায় তাদের টাইমস স্কেল প্রাপ্ত হলেও নানান অভিযোগে আটকে রাখেন। এ ব্যাপারে অফিস সহকারী মিল্টন জানান, মাদ্রাসার সুপার শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে যাহা আমরা ২০১৭ সাথে সকল শিক্ষক কর্মচারী সভাপতির বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। তিনি আরো বলেন সুপার নিয়মিত জামাতের সংগঠন কে চাঁদা দেয়ে আসছে। তার রশিদ আমাদের কাছে রয়েছে। মাদ্রাসার ৩ মাস হয়েছে এখন এডোক কমিটি করতে পারেনি।

মাদ্রাসার কমিটি না করায় ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন, স্বীকৃতি ও শিক্ষার মান এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ ফারুকুল ইসলাম জানান আমার টাইমস স্কেল প্রাপ্ত হয়েছি ২০২০ সালের ১ লা জনু থেকে কিন্তু সুপার ঘুরাঘুরির করে আদৌ পযর্ন্ত তা বাস্তবায়ন করার কোন খবর নেই। গত ২২ ডিসেম্বর কমিটির রেজুলেশন দিয়েছে, আমার কাছে অর্থ চাইলে আমি দেই নাই। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে আবেদন করি। তিনি বলেছে দিয়ো দেওয়ার জন্য। আমার কাছো ১ মাসের সময় নিয়েছেন এর মধ্যে দিয়ে দেওয়ার জন্য।টাইমস স্কেল না পাওয়া আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে।

মাদ্রাসার সভাপতি ডাঃ মোঃ আঃ মালেক জানান সুপার সাহেব খুবই সম্মানীত ব্যক্তি। একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রয়োজন আছে। আমি মনে করি সুপারের মাদ্রাসা পরিচালনা করার কোন দক্ষতা নেই।সুপারের অনিয়মের কারনে আদৌ একটি কমিটি গঠন করতে পারেনি। কমিটি না থাকায় মাদ্রাসা কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। মাদ্রাসার স্বীকৃতি জন্য রেজুলেশন করে বারবার তাগিদ দিলেও সুপার তার দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত রয়েছেন। যে সকল শিক্ষকদের টাইমস স্কেলের সময় হয়ে তাদের টাইমস স্কেল দেওয়ার জন্য ৩/৫ বার রেজুলেশন করে দেওয়া সত্বেও তা করেনি। সুপার শিক্ষকদের সাথে অন্যায় করেছে। সুপার মোঃ ফারুকুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান শিক্ষক ও কিছু অভিভাবক সদস্য মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যে বলে প্রমান হয়েছে। টাইমস স্কেল ক্ষেত্রে যাদের ১০ বছর পূর্ন হয়েছে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী পাবেন।আমি কোন শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করিনি।

সুপার ও শিক্ষকদের মাঝে দ্বন্দ থাকলে ঐ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সুপারের অনিয়ম-দুর্নীতির ও অদক্ষতা ফল শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রভাব পড়বে কি না তা অভিভাবক, ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষানুরাগী মাঝে সন্দেহ থেকে গেল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়