প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:২৬
শ্রদ্ধাভাজন তবারক উল্লাহ স্যারের সাথে ৪১ বছর পর দেখা এবং কিছু কথা

শিক্ষা হলো জ্ঞানলাভের একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তির সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তিকে অন্তর্নিহিত গুণাবলির পূর্ণ বিকাশের জন্যে উৎসাহ দেয়া হয়। তাই বলা হয়, শিক্ষক হলেন যাঁরা শিক্ষাদানের মহান ব্রত পালন করেন। শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তাঁর অনুসারীদের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধকে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদানকে সার্থক করে তোলেন না, আদর্শিক আলোকিত পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন।
তেমনই একজন শিক্ষক ছিলেন আমাদের স্কুলে, যিনি আমাদের অংক (গণিত ) শেখাতেন। শ্রদ্ধাভাজন তবারক উল্লাহ স্যার। নামটা উচ্চারণের সাথে সাথে শ্রদ্ধাবনত চিত্ত নাড়া দিয়ে উঠে স্মৃতির ফল্গুধারায়। স্যার অনেক শান্ত ছিলেন, আমরা (ধ+ন)২ সূত্র না পারলেও কিছু বলতেন না বা মারতেন না। বুঝিয়ে দিতেন এবং বলতেন, ঠিক মতন পড়ালেখা করতে।
স্যারের সাথে ৪১ বছর পর দেখা আমিরাবাদ গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। কুশল বিনিময় করার পর আমার প্রকাশিত ২টি বই স্যারকে দেই। স্যার বইগুলো হাতে নিয়ে বললেন, ‘আমি সত্যি খুশি হয়েছি তোমার বই পেয়ে। তুমি লেখালেখি করো এইটা আমাদের স্কুলের গর্ব, আমাদের সকল শিক্ষকের গর্ব। লেখালেখি চালিয়ে যাবে।’
সত্যিই স্যার, আপনার কথাগুলো আমাকে লিখতে আরো উজ্জীবিত ও উৎসাহিত করলো। আমি চেষ্টা করবো আজীবন লিখে যেতে আমাদের কথা, সমাজের কথা, দেশের কথা এবং ভালোবাসার কথা। আপনি ভালো ও সুস্থ থাকবেন স্যার।
ড. আব্দুস সাত্তার : লেখক ও সাংবাদিক, ওয়াশিংটন ডি সি।