প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:২১
শাহরাস্তিতে বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের দাবি
শাহরাস্তি উপজেলার উল্যাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় ভবন নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। স্থানীয়দের ঈদগাহ, বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং এলাকার শিশুদের একমাত্র খেলার ওই মাঠ রক্ষায় ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেছেন স্থানীয় মো. গোলাম মোস্তফা। আবেদনের সাথে একমত হয়ে ইতোমধ্যে গণস্বাক্ষর করেছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ৩ শ' ৩০ জন শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম চলমান। প্রতিষ্ঠাকালে ৩৩ শতাংশ ভূমি নিয়ে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠের উত্তর পাশে আরও ৭ শতাংশ ভূমি ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠের পূর্ব পাশে একটি একাডেমিক ভবন রয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিম পাশে থাকা পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে বড়ো পরিসরে একটি নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ আসে। ভবনটি এই স্থানে নির্মাণ করা হলে বিদ্যালয়ের মাঠটি আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে এলাকাবাসীর ঈদের নামাজ আদায়, বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী মাদরাসা এবং এলাকার শিশুদের খেলার একমাত্র জায়গাটি হারিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। এলাকার মো. মোশাররফ হোসেন ও এমরান হোসেন জানান, উল্যাশ্বর ও দাদিয়াপাড়া গ্রামে কোনো খেলার মাঠ নেই। স্থানীয় এলাকার শিশু-কিশোরদের একমাত্র খেলার মাঠ এটি। যেহেতু মাঠের উত্তরে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভূমি রয়েছে, সেহেতু ভবনটি মাঠের উত্তরে নির্মাণ করা হোক। এতে শিশুদের খেলাধুলার জায়গাটি ঠিক থাকবে। একই এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসন জানান, এলাকাবাসীর ঈদের নামাজ আদায় ও কারো মৃত্যু হলে এ মাঠেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মাঠটি ছোট হয়ে গেলে সামাজিক অনেক কার্যক্রম পিছিয়ে যাবে। বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মাহবুব আলম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি আরও বড়ো হলে আমরা খেলাধুলার সুযোগ পাবো। মাঠ রক্ষায় উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর আবেদনকারী মো. গোলাম মোস্তফা জানান, প্রস্তাবিত স্থানে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার মতো কোনো মাঠ থাকবে না এবং শরীরচর্চা করানোর জায়গাও থাকবে না। প্রস্তাবিত স্থান থেকে ৪০ ফুট উত্তরে উত্তর-পশ্চিম দিকে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলে উক্ত খেলার মাঠ রক্ষা ও জায়গার সমস্যা লাঘব হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ভবনটি প্রস্তাবিত স্থান থেকে সরিয়ে উত্তরে নির্মাণ করা হলে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রশস্ত হবে এবং এলাকাবাসীর সুবিধা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত জানান, বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।