প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৯
মতলব উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন,দাবি ১০ম গ্রেড
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
মানববন্ধনে সদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়ন ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মতলব উত্তর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ও শিকারিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম দিপু'র সঞ্চালনায় বক্ত্য রাখেন, ফরাজীকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন প্রধান, ছেঙ্গারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির,
দক্ষিণ ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্যামল কুমার বাড়ৈ, ৯২নং গজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহ আলম,জীবগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রহমতুল্লাহ চৌধুরী, দক্ষিণ ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নূরে আলম, উদামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মামুনুর রশিদ, কিনারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান,
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আব্দুল হালিম, ৬৮নং একলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহসীন মিয়া, ছোট চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রফিকুল ইসলাম, ডঃ মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলাম, দক্ষিণ ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ আর জ্যোতি,আমিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোহিনুর আক্তার, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শামসুল আলম,মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলাম, বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাকির হোসেন,সুগন্ধী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিরিনা আক্তার, কিনারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নজরুল রাকিব, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুজিবুর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১০ম গ্রেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের জন্য বেতন স্কেল ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেড করার প্রস্তাব দিয়েছে। এটা প্রহসন, আমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে যোগ্যতার প্রয়োজন হয় স্নাতক সমমান অথচ বেতন গ্রেড ১৩তম।
বক্তারা আরও বলেন, পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সমযোগ্যতার হওয়া সত্ত্বেও ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সেই একই যোগ্যতা নিয়েও আমরা বঞ্চিত। বর্তমানে ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষকদের জীবনমানের স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যা বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে কিছুটা সমাধান সম্ভব।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষরা।