শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

দেশে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

দেশে এই মুহূর্তে পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে, যা দিয়ে আগামী আড়াই থেকে তিন মাস চলতে পারে। এমনটিই জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি বলেন, আমাদের দেশে এই মুহূর্তে পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে, যা দিয়ে আগামী আড়াই থেকে তিন মাস চলতে পারে। ভারত ছাড়া মিয়ানমার থেকে যদি পেঁয়াজ আনা যায়, তাহলে কিন্তু এতো প্রেশার (চাপ) পড়ার কথা না। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে কিছুটা দাম বেড়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করবো, যেনো দাম সহনীয় মাত্রায় রাখা যায়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে অথচ শুধু চারটি পণ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কেনো, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আইনে তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মসলাসহ ১৭টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া আছে। বাকিগুলোর মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা নেই।

উৎপাদনসহ অন্যান্য পরিস্থিতি অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেখে জানিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যেসব পণ্য রয়েছে, সেগুলোর মনিটর আমরা করার চেষ্টা করবো। এর বাইরে অন্যান্য পণ্যে আমরা হস্তক্ষেপ করতে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চারদিক থেকে চেষ্টা করছি যাতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যতোদিন পর্যন্ত আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ না হবো, ততোদিন পর্যন্ত কখনো কখনো আমাদের মূল্য নিয়ে ক্রাইসিসে পড়তে হবে। আশার কথা হলো, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের উৎপাদন ভালো আছে। অন্তত এক লাখ টন পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হয়েছে। তারপরও এ সময়ে কিছুটা চাপ পড়ে চারদিক থেকে। আমরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করবো না।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্যে শুল্ক প্রত্যাহার করা হতে পারে। পেঁয়াজে বর্তমানে পাঁচ শতাংশ শুল্ক আছে, ডালের কোনো শুল্ক নেই। যে কেউ আমদানি করতে পারে। চিনির এইচডি ও অগ্রিম ট্যাক্স আছে। তেলের ওপর অগ্রিম ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্যে আমরা আগেই চিঠি লিখেছি এনবিআরকে। আমরা আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে ফল পাবো। পেঁয়াজের জন্যে চার মাস সুবিধা চেয়েছি। অন্য দুটি পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা কোনো সময় উল্লেখ করিনি। নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়