প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২২, ২৩:২৯
আমদানি বাড়ায় আড়তে ইলিশের ঝিলিক
ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বেড়েছে ব্যস্ততা। বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরেছে এখানকার ব্যবসায়ীদের মাঝে।
|আরো খবর
আজ ২৯ জুন বুধবার একদিনে প্রায় দেড় হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আঃ বারী জমাদার মানিক।
তিনি বলেন, দুই মাস অভয়াশ্রম শেষে আমাদের স্থানীয় নদ-নদীতে যে মাছ থাকার কথা কিন্তু জেলেরা মাছ পাচ্ছে না। আড়তে এখন যে ইলিশ আসছে মেঘনা অববাহিকার নির্মাঞ্চল হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল জেলেদের আহারিত ইলিশ।
গত দুইদিন আগেএ আড়তে তেমন ইলিশ ছিল না। এক দুইদিনে কিছু ইলিশের আমদানি বেড়েছে। জুলাই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ তিন মাস ইলিশের ভর মওসুমে আমদানি আরো বাড়লে ব্যবসায়িরা লাভের মুখ দেখবে।
এদিকে, সরজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘাটে ইলিশের সমারোহ। বাবুল হাজী, গফুর জমাদার, হাজী মালেক খন্দকার, শবেবরাত কোম্পানি, কালু ভূঁইয়াসহ ঘাটের বড় আড়তদার সবারই আড়তে কম বেশি ইলিশের আমদানি এবং ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে আড়তদারদের মুখে।
বড়স্টেশন মাছ ঘাটে আমদানিকৃত অধিকাংশ মাছই আসছে সাগর মোহনা অঞ্চল থেকে। সাগর, মোহনা ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় খুব একটা দেখা মিলছে না ইলিশের। চাঁদপুরের জেলে ও ব্যবসায়ীদের আশা অচিরেই পদ্মা-মেঘনা নদীতেও দেখা মিলবে ইলিশের।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাবে। ইলিশের ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশের নাগাল না পেলেও নামার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। এতে করে ইলিশের আমদানিতে চাঁদপুরের পাইকারি বাজার মাছঘাট কিছুটা হলেও ইলিশের সরগরম হয়ে উঠেছে।
সূত্র বলছে, ৪শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের মাছের আমদানি বেশি। এক কেজি বা তারও বড় সাইজের মাছের আমদানি কিছুটা কম। বর্তমানে ৪শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণ প্রতি ২২ থেকে ২৪ হাজার, ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণ প্রতি ২৮- ৩০ হাজার, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মণ প্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা থেকে আসা ইলিশের মূল্য মণ প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।